ETV Bharat / state

কাঁথি থেকে গ্রেফতার বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের দুই অভিযুক্ত - Rameswaram Cafe blast case - RAMESWARAM CAFE BLAST CASE

Rameswaram Cafe blast case: পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার হল রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডের দুই মূল অভিযুক্তকে ৷ শুক্রবার সকালে তাদের ধরে এনআইএ ৷

ETV Bharat
এনআইএর হাতে গ্রেফতার
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 12, 2024, 10:56 AM IST

Updated : Apr 12, 2024, 1:52 PM IST

কলকাতা, 12 এপ্রিল: বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে দু'জনকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ ৷ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত দুই সন্দেহভাজনকে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা এবং এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার সময় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক শীর্ষকর্তা বলেন, "জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে গোয়েন্দা দফতরের সঙ্গে সেন্ট্রাল এজেন্সিগুলির কথাবার্তা হয় ৷ এটা নতুন কোনও তথ্য বা কথা নয় ৷ কিন্তু এই রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তরা যে পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে, তার ইনপুট রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ পেয়েছিল ৷ তা পরে আমরা সেন্ট্রাল আইবিকে জানিয়েছিলাম ৷ এরপর এই ঘটনায় এনআইএকেও আমরা সাহায্য করি ৷"

ধৃত দু'জন আবদুল মাথিন ত্বাহা ওরফে সুমিত এবং মুসাভির হুসেন সজীব ৷ গত 29 মার্চ তাদের সন্ধানে 10 লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে এনআইএ ৷ এনআইএ সূত্রে খবর, সজীবই ক্যাফেতে আইইডি ডিভাইস রেখেছিল ৷ আর আবদুল এই বিস্ফোরণকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বলে জানা গিয়েছে ৷ বিস্ফোরণের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ঘটনার পর কোন পথে কীভাবে পালিয়ে যেতে হবে, সে সবই ঠিক করেছিল এই আবদুল ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে এনআইএ তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে ৷ তারা মিথ্যে পরিচয় দিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিল ৷ কলকাতার কাছ থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এই তল্লাশি অভিযানে এনআইএ-র সঙ্গে সহযোগিতা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং কেরল পুলিশের এজেন্সি ৷

গত 1 মার্চ, শুক্রবারের ব্য়স্ত দুপুরে 12.50 মিনিট নাগাদ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয় ৷ সেই সময় বেঙ্গালুরুর ব্রুকফিল্ড এলাকার জনপ্রিয় এই খাবারের দোকানে যথেষ্ট ভিড় ছিল ৷ ক্যাফের হাত ধোয়ার জায়গায় বিস্ফোরণ হয় ৷ তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা কম থাকায় কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি ৷ এই ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশ বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করে ৷

ক্যাফে ও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রথমে এক সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে পুলিশ ৷ ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ক্যাফেতে একটি ব্যাগ রাখতে দেখা গিয়েছিল ৷ জানা যায়, বিস্ফোরণ ঘটাতে টাইমার-সহ আইইডি ডিভাইসও ব্যবহার করা হয় ৷

রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের তদন্ত: গত 5 মার্চ এনআইএ কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহারা জেল-সহ দেশের 18টি কারাগারে অভিযান চালায় ৷ এই সময়ে অগ্রহারা জেল থেকে মাজ মুনিরকে আট দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ৷ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত জিজ্ঞাসাবাদে কোনও তথ্য না দিলেও তারই দেওয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতে এনআইএ আধিকারিকরা চিকমাগালুরের মুজামিল শরিফকেও গ্রেফতার করে ৷ মুজামিল জেরায় মাজ মুনিরের কার্যকলাপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পরই মাজ মুনিরকে গ্রেফতার করা হয় ৷

তদন্তে এনআইএ আরও জানতে পারে, বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহারা জেলে বসে এই বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল ৷ পরিকল্পনাটি ছিল মাজ মুনিরের ৷ সে আবার শিবমোগা ট্রায়াল বিস্ফোরণ এবং ম্যাঙ্গালুরু গ্র্যাফিটি মামলার সন্দেহভাজন ৷ এপ্রিলের শুরুতেই তাকে অগ্রহারা জেল থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ ৷ এবার দুই মূল অভিযুক্ত আবদুল মাথিন ত্বাহা ওরফে সুমিত এবং মুসাভির হুসেন শাজীবকেও গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যৌথ অভিযানে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

এই তদন্তে আবদুল মাথিন ত্বাহা এবং মুসাভির হুসেন শাজীবের খোঁজ পাচ্ছিল না এনআইএ ৷ তাই 29 মার্চ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দুই পলাতকের ফোটো, চেহারার বিবরণ ও আরও কিছু খুঁটিনাটি প্রকাশ করে ৷ এনআইএ জানায়, এই দুই অভিযুক্তের সন্ধান দিতে পারলে তাঁকে নগদ 10 লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে ৷ তবে সন্ধানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে ৷

আবদুল ও মুসাভিরকে খুঁজতে কী জানিয়েছিল এনআইএ ?

মুসাভির হুসেন শাজিব: অভিযুক্ত শাজিব ওরফে মহম্মদ জুনেদ হুসেন ওরফে মহম্মদ জুনেদ সঈদ নামেও পরিচিত ৷ তার বয়স 30 বছর ৷ গায়ের রং উজ্জ্বল ৷ তার শরীরের ধরন সম্পর্কে এনআইএ জানাচ্ছে 'জিম টাইপ বডি' অর্থাৎ তার শরীরের গঠন জিম করে তৈরি করা ৷ তার উচ্চতা 6 ফুট 2 ইঞ্চি ৷ চুল কালো এবং সোজা ৷ সে টি-শার্ট ও জিনস পরে ৷

শাজিব নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে মহম্মজ জুনেদ সঈদ বা অন্য কোনও ভুয়ো আইডি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ সে টি-শার্ট এবং শার্ট, কালো স্মার্ট ওয়াচ পরে ৷ সাধারণ মাস্কেই তাকে দেখা যায় ৷ এছাড়া নকল চুল এবং দাড়িও লাগিয়ে রাখে ৷ মুসাভির হুসেন শাজিব সাধারণত পুরুষদের হস্টেলে থাকে ৷ কখনও পেয়িং গেস্ট হিসেবে, কখনও কারও সঙ্গে ঘর ভাগ করেও থাকতে পারে ৷ এছাড়া কম দামি হোটেল এবং লজেও সে আত্মগোপন করে থাকে ৷

আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বাহা: এই অভিযুক্তেরও একাধিক নাম আছে- আবদুল মাথিন ত্বাহা, মাথিন, ত্বাহা আবার ভিগনেশ, সুমিত ৷ এছাড়া অন্য হিন্দু নামেও আত্মগোপন করতে পারে ৷ আবদুলের বয়স 30 বছর ৷ গায়ের রং সাদা আর শারীরিক গঠন মাঝামাঝি ৷ উচ্চতা 5 ফুট 5 ইঞ্চি ৷ মাথায় সামনের দিকে চুল নেই ৷ তবে মাথার পিছন ও পাশে হালকা চুল আছে ৷ মাথায় ক্যাপ পরে আবদুল ৷ সাধারণত টিশার্ট, জিনস, হুডিস এবং ক্যাপ পরে থাকে ৷

ভুয়ো হিন্দু পরিচয় নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আবদুল মাথিন ৷ ভিগনেশ নামের নকল আধার কার্ড অথবা অন্য ভুয়ো নথি ব্যবহার করে ৷ সে জিনস আর টি-শার্ট পরতে পছন্দ করে ৷ হুডিস ক্যাপ পরে ৷ প্রায়ই মাস্ক, নকল চুল ও দাড়ি মুখে লাগিয়ে রাখে, যাতে সহজে কেউ চিনতে না পারে ৷ মুসাভিরের মতো ত্বাহাও পেয়িং গেস্ট, পুরুষদের হস্টেল, ঘর ভাগ করে থাকা এবং কমদামি হোটেল ও লজে থাকে ৷

আরও পড়ুন:

  1. রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলায় জেল থেকে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত
  2. রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে অধরা আততায়ীর সন্ধান দিলে 10 লক্ষ টাকা পুরস্কার, ঘোষণা এনআইএ’র

কলকাতা, 12 এপ্রিল: বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে দু'জনকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ ৷ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত দুই সন্দেহভাজনকে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা এবং এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার সময় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক শীর্ষকর্তা বলেন, "জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে গোয়েন্দা দফতরের সঙ্গে সেন্ট্রাল এজেন্সিগুলির কথাবার্তা হয় ৷ এটা নতুন কোনও তথ্য বা কথা নয় ৷ কিন্তু এই রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তরা যে পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে, তার ইনপুট রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ পেয়েছিল ৷ তা পরে আমরা সেন্ট্রাল আইবিকে জানিয়েছিলাম ৷ এরপর এই ঘটনায় এনআইএকেও আমরা সাহায্য করি ৷"

ধৃত দু'জন আবদুল মাথিন ত্বাহা ওরফে সুমিত এবং মুসাভির হুসেন সজীব ৷ গত 29 মার্চ তাদের সন্ধানে 10 লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে এনআইএ ৷ এনআইএ সূত্রে খবর, সজীবই ক্যাফেতে আইইডি ডিভাইস রেখেছিল ৷ আর আবদুল এই বিস্ফোরণকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বলে জানা গিয়েছে ৷ বিস্ফোরণের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ঘটনার পর কোন পথে কীভাবে পালিয়ে যেতে হবে, সে সবই ঠিক করেছিল এই আবদুল ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে এনআইএ তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে ৷ তারা মিথ্যে পরিচয় দিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিল ৷ কলকাতার কাছ থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এই তল্লাশি অভিযানে এনআইএ-র সঙ্গে সহযোগিতা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং কেরল পুলিশের এজেন্সি ৷

গত 1 মার্চ, শুক্রবারের ব্য়স্ত দুপুরে 12.50 মিনিট নাগাদ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয় ৷ সেই সময় বেঙ্গালুরুর ব্রুকফিল্ড এলাকার জনপ্রিয় এই খাবারের দোকানে যথেষ্ট ভিড় ছিল ৷ ক্যাফের হাত ধোয়ার জায়গায় বিস্ফোরণ হয় ৷ তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা কম থাকায় কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি ৷ এই ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশ বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করে ৷

ক্যাফে ও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রথমে এক সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে পুলিশ ৷ ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ক্যাফেতে একটি ব্যাগ রাখতে দেখা গিয়েছিল ৷ জানা যায়, বিস্ফোরণ ঘটাতে টাইমার-সহ আইইডি ডিভাইসও ব্যবহার করা হয় ৷

রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের তদন্ত: গত 5 মার্চ এনআইএ কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহারা জেল-সহ দেশের 18টি কারাগারে অভিযান চালায় ৷ এই সময়ে অগ্রহারা জেল থেকে মাজ মুনিরকে আট দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ৷ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত জিজ্ঞাসাবাদে কোনও তথ্য না দিলেও তারই দেওয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতে এনআইএ আধিকারিকরা চিকমাগালুরের মুজামিল শরিফকেও গ্রেফতার করে ৷ মুজামিল জেরায় মাজ মুনিরের কার্যকলাপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পরই মাজ মুনিরকে গ্রেফতার করা হয় ৷

তদন্তে এনআইএ আরও জানতে পারে, বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহারা জেলে বসে এই বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল ৷ পরিকল্পনাটি ছিল মাজ মুনিরের ৷ সে আবার শিবমোগা ট্রায়াল বিস্ফোরণ এবং ম্যাঙ্গালুরু গ্র্যাফিটি মামলার সন্দেহভাজন ৷ এপ্রিলের শুরুতেই তাকে অগ্রহারা জেল থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ ৷ এবার দুই মূল অভিযুক্ত আবদুল মাথিন ত্বাহা ওরফে সুমিত এবং মুসাভির হুসেন শাজীবকেও গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যৌথ অভিযানে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

এই তদন্তে আবদুল মাথিন ত্বাহা এবং মুসাভির হুসেন শাজীবের খোঁজ পাচ্ছিল না এনআইএ ৷ তাই 29 মার্চ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দুই পলাতকের ফোটো, চেহারার বিবরণ ও আরও কিছু খুঁটিনাটি প্রকাশ করে ৷ এনআইএ জানায়, এই দুই অভিযুক্তের সন্ধান দিতে পারলে তাঁকে নগদ 10 লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে ৷ তবে সন্ধানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে ৷

আবদুল ও মুসাভিরকে খুঁজতে কী জানিয়েছিল এনআইএ ?

মুসাভির হুসেন শাজিব: অভিযুক্ত শাজিব ওরফে মহম্মদ জুনেদ হুসেন ওরফে মহম্মদ জুনেদ সঈদ নামেও পরিচিত ৷ তার বয়স 30 বছর ৷ গায়ের রং উজ্জ্বল ৷ তার শরীরের ধরন সম্পর্কে এনআইএ জানাচ্ছে 'জিম টাইপ বডি' অর্থাৎ তার শরীরের গঠন জিম করে তৈরি করা ৷ তার উচ্চতা 6 ফুট 2 ইঞ্চি ৷ চুল কালো এবং সোজা ৷ সে টি-শার্ট ও জিনস পরে ৷

শাজিব নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে মহম্মজ জুনেদ সঈদ বা অন্য কোনও ভুয়ো আইডি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ সে টি-শার্ট এবং শার্ট, কালো স্মার্ট ওয়াচ পরে ৷ সাধারণ মাস্কেই তাকে দেখা যায় ৷ এছাড়া নকল চুল এবং দাড়িও লাগিয়ে রাখে ৷ মুসাভির হুসেন শাজিব সাধারণত পুরুষদের হস্টেলে থাকে ৷ কখনও পেয়িং গেস্ট হিসেবে, কখনও কারও সঙ্গে ঘর ভাগ করেও থাকতে পারে ৷ এছাড়া কম দামি হোটেল এবং লজেও সে আত্মগোপন করে থাকে ৷

আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বাহা: এই অভিযুক্তেরও একাধিক নাম আছে- আবদুল মাথিন ত্বাহা, মাথিন, ত্বাহা আবার ভিগনেশ, সুমিত ৷ এছাড়া অন্য হিন্দু নামেও আত্মগোপন করতে পারে ৷ আবদুলের বয়স 30 বছর ৷ গায়ের রং সাদা আর শারীরিক গঠন মাঝামাঝি ৷ উচ্চতা 5 ফুট 5 ইঞ্চি ৷ মাথায় সামনের দিকে চুল নেই ৷ তবে মাথার পিছন ও পাশে হালকা চুল আছে ৷ মাথায় ক্যাপ পরে আবদুল ৷ সাধারণত টিশার্ট, জিনস, হুডিস এবং ক্যাপ পরে থাকে ৷

ভুয়ো হিন্দু পরিচয় নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আবদুল মাথিন ৷ ভিগনেশ নামের নকল আধার কার্ড অথবা অন্য ভুয়ো নথি ব্যবহার করে ৷ সে জিনস আর টি-শার্ট পরতে পছন্দ করে ৷ হুডিস ক্যাপ পরে ৷ প্রায়ই মাস্ক, নকল চুল ও দাড়ি মুখে লাগিয়ে রাখে, যাতে সহজে কেউ চিনতে না পারে ৷ মুসাভিরের মতো ত্বাহাও পেয়িং গেস্ট, পুরুষদের হস্টেল, ঘর ভাগ করে থাকা এবং কমদামি হোটেল ও লজে থাকে ৷

আরও পড়ুন:

  1. রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলায় জেল থেকে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত
  2. রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে অধরা আততায়ীর সন্ধান দিলে 10 লক্ষ টাকা পুরস্কার, ঘোষণা এনআইএ’র
Last Updated : Apr 12, 2024, 1:52 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.