ETV Bharat / state

গড়িয়ায় 28 কোটি খরচে জলাধার, উপকৃত হবেন 40 হাজার নাগরিক

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 9, 2024, 2:58 PM IST

3.2 Million Gallon Water Tank in Garia: গড়িয়ার ব্রহ্মপুরে 28 কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হল 3.2 মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন বুস্টিং পাম্পিং সেন্টার ৷ আগামী মার্চ মাসে এই পাম্পিং সেন্টারের উদ্বোধন হবে ৷ জলে আয়রন ও খারের সমস্যা আগাগোড়াই ছিল এই অঞ্চলে ৷ এবার গরম পড়ার আগেই দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: রুক্ষ ভূমিতে যেন প্রাণের সঞ্চার ৷ তেমনটাই ঘটতে চলেছে গড়িয়ার ব্রহ্মপুরে ৷ সেখানে তৈরি হয়েছে 3.2 মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন বুস্টিং পাম্পিং সেন্টার ৷ 111 নম্বর ওয়ার্ডের সেনপল্লিতে এই আধুনিক জলাধার তৈরি হয়েছে ৷ যা চালু হচ্ছে আগামী মার্চ মাস থেকে ৷ এর ফলে সুভাষপল্লি, কামডহরি, গড়িয়া, সোনারপুর ও যাদবপুর সীমানা লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকার 35-40 হাজার নাগরিক পাবেন পরিশ্রুত পানীয় জল ৷ এই কর্মকাণ্ডে খরচ হচ্ছে 28 কোটি টাকা ৷

এক সময় এই সমস্ত এলাকা কলকাতা পৌরনিগমের আওতাধীন হয় ৷ অভিযোগ ছিল, সংযুক্ত এলাকার টাকা বরাদ্দ হলেও, উন্নয়ন তেমন হয়নি ৷ তার মধ্যে অন্যতম ছিল পানীয় জলের সমস্যা ৷ তবে বেশ কয়েক বছর ধরে এলাকায় পৌর পরিষবা ঢেলে সাজানো হয়েছে ৷ সেই কাজ করতে গিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের নজরে আসে, ওই এলাকায় তীব্র পানীয় জলের কষ্ট ৷ যেখানে ভূগর্ভস্থ জল একমাত্র ভরসা ৷ গভীর নলকূপ থেকে জল তুলে পাম্পের সাহায্যে এলাকার লোকজনকে দেওয়া হত ৷ আর গরমকালে জলের চাহিদা বাড়লে সংকট আরও প্রকট হত ৷

আর পানীয় জলের চরম সঙ্কট চরম ছিল 111 নম্বর ওয়ার্ডে ৷ আশপাশের এলাকায় যেতে হতো জলের জন্য ৷ এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে এই বিষয় জানান সেখানকার তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ দাস ৷ এর পরে তাঁর সহযোগিতায় শেষমেষ সংকট কাটতে চলেছে ৷ আগামী মাস থেকে গড়িয়া-সহ আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে আর নলকূপ নয়, এক্কেবারে জল প্রকল্পের থেকে পাইপলাইন মারফত আসবে পরিশ্রুত পানীয় জল ৷ বহু বছরের দাবি পূরণ হতে চলায় এলাকায় খুশির আবহ ৷ উল্লেখ্য, এই এলাকায় এতদিন গার্ডেনরিচের জল আসত ৷ ফলে সেখানেও জলের চাপ কম ছিল ৷ সেই সব সমস্যার সমাধান এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা ৷

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে জানা গেছে, সমস্যার কথা জানতে পেরে পরিকল্পনা বেশকয়েক বছর আগেই করা হয়েছিল ৷ তবে, করোনা সব ঘেঁটে দেয় ৷ এরপর বছর খানেক আগে কাজ শুরু হয় পুরোদমে ৷ সম্প্রতি এই জলাধার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে ৷ খেয়ালী সংঘ, ভট্টাচার্য পাড়া, চারুনগর, সারদা পার্ক, শরৎ পল্লি, সেন পল্লি-সহ আশপাশে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন ৷ এই বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন কমবেশি 30টি গভীর নলকূপ আছে ৷ এই জলাধার হলে প্রায় 20টির বেশি নলকূপ বন্ধ করে দেওয়া হবে ৷ এতে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমবে ৷

এই সমস্ত এলাকার মানুষজন জানান, অনেক দিনের দাবিপূরণ হতে চলেছে ৷ কলকাতা পৌরনিগমে অন্তর্ভুক্তির বহু বছর হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, পরিশ্রুত পানীয় জল পায়নি আজ পর্যন্ত ৷ সেই দাবিপূরণ হচ্ছে ৷ যার কৃতিত্ব স্থানীয়রা দিয়েছেন কাউন্সিলর সন্দীপ দাসকে ৷ কাউন্সিলর সন্দীপ দাসের বক্তব্য, "মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অনেকটাই সহায়তা করেছেন এই কাজে ৷ আমার ওয়ার্ড-সহ আশপাশের লাগোয়া ওয়ার্ডগুলির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মানুষ দীর্ঘদিন এই জল কষ্টে ভুগেছেন ৷ তাদের সেই কষ্ট লাঘব করতে পেরে ভালো লাগছে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. নিউ মার্কেটে হবে নাইট মার্কেট, পৌরনিগমের বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব
  2. সম্পত্তি করে লক্ষ্মীলাভ কলকাতা পৌরনিগমের, কোষাগারে জমা পড়ল হাজার কোটির বেশি টাকা
  3. জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, কলকাতা পৌরনিগমের শীর্ষপদে রদবদল

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: রুক্ষ ভূমিতে যেন প্রাণের সঞ্চার ৷ তেমনটাই ঘটতে চলেছে গড়িয়ার ব্রহ্মপুরে ৷ সেখানে তৈরি হয়েছে 3.2 মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন বুস্টিং পাম্পিং সেন্টার ৷ 111 নম্বর ওয়ার্ডের সেনপল্লিতে এই আধুনিক জলাধার তৈরি হয়েছে ৷ যা চালু হচ্ছে আগামী মার্চ মাস থেকে ৷ এর ফলে সুভাষপল্লি, কামডহরি, গড়িয়া, সোনারপুর ও যাদবপুর সীমানা লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকার 35-40 হাজার নাগরিক পাবেন পরিশ্রুত পানীয় জল ৷ এই কর্মকাণ্ডে খরচ হচ্ছে 28 কোটি টাকা ৷

এক সময় এই সমস্ত এলাকা কলকাতা পৌরনিগমের আওতাধীন হয় ৷ অভিযোগ ছিল, সংযুক্ত এলাকার টাকা বরাদ্দ হলেও, উন্নয়ন তেমন হয়নি ৷ তার মধ্যে অন্যতম ছিল পানীয় জলের সমস্যা ৷ তবে বেশ কয়েক বছর ধরে এলাকায় পৌর পরিষবা ঢেলে সাজানো হয়েছে ৷ সেই কাজ করতে গিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের নজরে আসে, ওই এলাকায় তীব্র পানীয় জলের কষ্ট ৷ যেখানে ভূগর্ভস্থ জল একমাত্র ভরসা ৷ গভীর নলকূপ থেকে জল তুলে পাম্পের সাহায্যে এলাকার লোকজনকে দেওয়া হত ৷ আর গরমকালে জলের চাহিদা বাড়লে সংকট আরও প্রকট হত ৷

আর পানীয় জলের চরম সঙ্কট চরম ছিল 111 নম্বর ওয়ার্ডে ৷ আশপাশের এলাকায় যেতে হতো জলের জন্য ৷ এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে এই বিষয় জানান সেখানকার তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ দাস ৷ এর পরে তাঁর সহযোগিতায় শেষমেষ সংকট কাটতে চলেছে ৷ আগামী মাস থেকে গড়িয়া-সহ আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে আর নলকূপ নয়, এক্কেবারে জল প্রকল্পের থেকে পাইপলাইন মারফত আসবে পরিশ্রুত পানীয় জল ৷ বহু বছরের দাবি পূরণ হতে চলায় এলাকায় খুশির আবহ ৷ উল্লেখ্য, এই এলাকায় এতদিন গার্ডেনরিচের জল আসত ৷ ফলে সেখানেও জলের চাপ কম ছিল ৷ সেই সব সমস্যার সমাধান এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা ৷

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে জানা গেছে, সমস্যার কথা জানতে পেরে পরিকল্পনা বেশকয়েক বছর আগেই করা হয়েছিল ৷ তবে, করোনা সব ঘেঁটে দেয় ৷ এরপর বছর খানেক আগে কাজ শুরু হয় পুরোদমে ৷ সম্প্রতি এই জলাধার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে ৷ খেয়ালী সংঘ, ভট্টাচার্য পাড়া, চারুনগর, সারদা পার্ক, শরৎ পল্লি, সেন পল্লি-সহ আশপাশে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন ৷ এই বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন কমবেশি 30টি গভীর নলকূপ আছে ৷ এই জলাধার হলে প্রায় 20টির বেশি নলকূপ বন্ধ করে দেওয়া হবে ৷ এতে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমবে ৷

এই সমস্ত এলাকার মানুষজন জানান, অনেক দিনের দাবিপূরণ হতে চলেছে ৷ কলকাতা পৌরনিগমে অন্তর্ভুক্তির বহু বছর হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, পরিশ্রুত পানীয় জল পায়নি আজ পর্যন্ত ৷ সেই দাবিপূরণ হচ্ছে ৷ যার কৃতিত্ব স্থানীয়রা দিয়েছেন কাউন্সিলর সন্দীপ দাসকে ৷ কাউন্সিলর সন্দীপ দাসের বক্তব্য, "মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অনেকটাই সহায়তা করেছেন এই কাজে ৷ আমার ওয়ার্ড-সহ আশপাশের লাগোয়া ওয়ার্ডগুলির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মানুষ দীর্ঘদিন এই জল কষ্টে ভুগেছেন ৷ তাদের সেই কষ্ট লাঘব করতে পেরে ভালো লাগছে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. নিউ মার্কেটে হবে নাইট মার্কেট, পৌরনিগমের বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব
  2. সম্পত্তি করে লক্ষ্মীলাভ কলকাতা পৌরনিগমের, কোষাগারে জমা পড়ল হাজার কোটির বেশি টাকা
  3. জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, কলকাতা পৌরনিগমের শীর্ষপদে রদবদল
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.