নামখানা, 13 মার্চ: নামাখানা ব্লকের বাসিন্দা ধ্রুব বিকাশ মাইতি ৷ ছোটবেলা থেকেই কবিতা লেখার প্রতি তাঁর অসীম আগ্রহ ৷ বছর সাতাশের এই তরুণ কবি একইদিনে 5টি কবিতার বই প্রকাশ করে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিলেন ৷ ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের তরফে ধ্রুবর বাড়িতে এসে পৌঁছেছে একটি স্মারকলিপি ও পদক।
তরুণ কবি ধ্রুব বিকাশ নামখানা বিডিও অফিসের বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের একজন কর্মচারী । কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে লেখালেখি আর কবিতা নিয়ে চর্চা করেন ৷ ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসে নিজের জায়গা করতে পেরে তিনিও নিজেও খুশি ৷ তাঁর এই সাফল্যের জন্য শিক্ষক অনুপম কুন্ডুর অবদান যে অপরিসীম, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘2019 সালে আমার প্রথম কবিতা প্রকাশ পায় ৷ তিনি আমায় কবিতা লেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন । এরপর আমি একে একে নিজের লেখা কবিতার বই প্রকাশ করি । আমি ভাবি যে একটি একটি করে কবিতার বই প্রকাশ না করে যদি আমি একসঙ্গে বেশ কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশ করি তাহলে অনেকেই বিষয়টি জানতে পারবেন ।’’
সেইমতোই ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসে আবেদন করেন ৷ বকখালি সমুদ্র সৈকতে তাঁর লেখা পাঁচটি কবিতার বই একই দিনে প্রকাশিত হওয়ার খবর ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ছিলেন ছিলেন তিনি। প্রকাশিত পাঁচটি কবিতার বই হল 'অথবা জলচক্র', 'বোতাম বিশ্বাসের মতো', এই সবগুলি হাইকু জাতীয় কবিতা । এছাড়াও ‘বান্ধবী’ নামে কবিতার বইটি মূলত সিরিজ কবিতা । ‘পাথর চাপা চিৎকার’ একটি স্বাধীন গদ্য কবিতা । ‘চাঁদ হাতে কুরুক্ষেত্র’ এই পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার কবিতা ।
এই প্রসঙ্গেই অধ্যাপক অনপু কন্ডু বলেন, "ধ্রুব আমার খুব প্রিয় ছাত্র । বকখালি সমুদ্র সৈকতে তাঁর লেখা পাঁচটি কবিতার বই একদিনে প্রকাশিত হয়েছে । পাঠকমহল থেকে কবিমহলের সর্বত্রেই প্রশংসিত হয়েছে ধ্রুবর লেখা ৷ ওর কর্ম বটবৃক্ষের মতো হোক । ধ্রুবর এই কৃতিত্বে আমরা খুব খুশি । শুধু আমরা নয়, নামখানাবাসী থেকে শুরু করে গোটা জেলার মানুষজন খুশি ৷’’
ধ্রুব বিকাশ মাইতির এই সাফল্যে খুশি পরিবারের লোকজনও ৷ ধ্রুবর কাকা অনাথবর মাইতি বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে বাধা-বিপত্তির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে বড় হয়েছে ধ্রুব । ছোট থেকেই কবিতার প্রতি বিশেষ ভালোবাসা ছিল ওর । আমরা চাই ধ্রুব আরও বড় হোক । ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসে ধ্রুবর সাফল্যে আমরা খুশি ৷ ধ্রুব এখন নামখানার উজ্জ্বল ধ্রুবতারা ।’’
আরও পড়ুন: