কলকাতা, 15 অগস্ট: রাজ্য সরকার কর্মনাশা বনধকে সমর্থন করে না ৷ এটা এই সরকারের নীতিগত অবস্থান ৷ শুক্রবার বিকেলে রাজভবনের সামনে থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নবান্নের তরফেও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে ৷ সরকারি কর্মীদের এদিন হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ বিনা হাজিরায় একদিনের বেতন কাটা যাবে, বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে রাজ্য সরকার ৷
বুধ ও বৃহস্পতির মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাণ্ডব চালিয়েছে কয়েকজন দুষ্কৃতী ৷ এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা ৷ এই অবস্থায় এসইউসিআই শুক্রবার রাজ্যজুড়ে 12 ঘণ্টার বনধ ডেকেছে ৷ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের বাংলায় স্ট্রাইক হয় না ৷ কারণ স্ট্রাইক বন্ধ করা আছে ৷ যে স্ট্রাইকে যোগ দেবে, সে নিজেরটা নিজে বুঝে নেবে ৷ আমি সবাইকে সবকিছু খোলা রাখার আবেদন জানাব ৷" এই বনধকে বাম-রামের চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি ৷
অতএব শুক্রবার অর্থাৎ আগামীকাল রাজ্যে ডাকা 12 ঘণ্টার বাংলা বনধের কোনও প্রভাব কোথাও পড়বে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, সমস্ত দফতরের কর্মীদের আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতোই অফিসে আসতে হবে ৷ সরকারি এবং বেসরকারি পরিবহণ যাতে স্বাভাবিক থাকবে ৷ রাজ্যবাসীকে রাস্তায় নেমে অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয়, সেজন্য রাজ্যের পরিবহণ সচিব সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে আগামিকাল সর্বাধিক মাত্রায় বাস যাতে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করবেন ৷
এই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে 16ই আগস্ট অর্থাৎ আগামিকাল কেউ ছুটি নিতে পারবে না ৷ তবে অতি জরুরি ক্ষেত্রে তা অবশ্যই ব্যতিক্রম ৷ সাম্প্রতিক সময়ে 16 অগস্টের জন্য করা ছুটির আবেদন বাতিল করেছেন নবান্ন ৷ এক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ৷ সরকারি কর্মীরা এদিন হাজিরা না দিলে, তাঁদের একদিনের বেতন কাটা যাবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে ৷