কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: কলকাতা পৌরনিগমে 2024-25 অর্থবর্ষের ঘাটতি বাজেট পেশ নিয়ে মেয়রকে কটাক্ষ করলেন বিরোধীরা ৷ যদিও এই ঘাটতি নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামতে নারাজ মেয়র ফিরহাদ হাকিম । তাঁর সাফ কথা,"বাজেটে ঘাটতি থাকে থাক কিন্তু নাগরিক পরিষেবায় যাতে ঘাটতি না হয় এটা দেখা বেশি দরকার ।"
এদিকে ঘাটতি বাজেট নিয়ে শনিবার সমালোচনায় সরব হন বিরোধী কাউন্সিলররা । বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, "প্রতি বছর 10-12 কোটি টাকা ঘাটতি কমাচ্ছে আর লাফাচ্ছে । মানুষকে তো দিশা দেখাতে হবে । কোথা থেকে ঘাটতি পূরণ করেছে । মেয়র বলছেন নাগরিক পরিষেবার কোনও অসুবিধা হবে না, উনি কি ট্যাঁকশাল খুলেছেন ? উনি তো টাকা ছাপতে পারবেন না । তাহলে টাকা কোথা থেকে আসবে ? বেআইনি বাড়ি বানাচ্ছে দলের ছেলেরা সিসি নিচ্ছে না । কর আদায় হবে কোথায়, পুলিশি মদতে বেআইনি পার্কিং থেকে টাকা তোলা চলছে তাহলে ৷ তাই কর্পোরেশন পার্কিং খাতে লাভ করতে পারছে না । বড় মল, বাড়ি কত কোটি টাকা কর বাকি প্রকাশ করুক ।"
ঘাটতি বাজেট হলে বছরভর পৌর পরিষেবায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ৷ সেই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাম কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব । তাঁর কথায়, "যবে থেকে বাজেটে নিয়মমাফিক বরাদ্দ করতে পারব তখনই আমরা ঘাটতি মেটাতে সক্ষম হব । ঘাটতি বাজেটের প্রভাব আছে । উন্নয়ন বা রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ফাইল পড়ে থাকে । জিজ্ঞাসা করলে বলে টাকা নেই । আয় না করলে ব্যয় তো করতে পারবে না । যে খাতে টাকা খরচের দরকার সেই খাতে না করে অন্য জায়গায় করছে ।"
তবে বিরোধীদের ঘাটতি বাজেট মন্তব্যে পাত্তা দিচ্ছেন না কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ তবে রাজস্ব আদায় যে অনেকাংশে ব্যর্থ সেটাও তিনি এদিন স্বীকার করেছেন । মেয়রের কথায়, "আমরা বিজ্ঞাপন বিভাগে আয়ের কথা যেভাবে ভেবেছিলাম পারিনি । বিজ্ঞাপন নীতি চূড়ান্ত করছি । আরও কয়েকটি বিভাগে যতটা আয় হবে ভেবেছিলাম হয়নি । কারো ব্যক্তিগত উপকার না দেখে কলকাতার মানুষের স্বার্থে কর্পোরেশন কাজ করে যাবে । ঘাটতি বাজেট আজকের নয় অনেক দিনের । এটা আসতে আসতে কমবে । একেবারে কমানোর ম্যাজিক তো আমার কাছে নেই । ঘাটতির থেকেও বড় কথা পৌর পরিষেবা আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ । খাতা কলমে যোগ বিয়োগ, সরকারের তরফে কী পেলাম তার থেকেও বড় বিষয় পরিষেবা দিতে কোথাও যাতে ঘাটতি না থাকে ।"
আরও পড়ুন :