মগরা, 4 মার্চ: বিয়ের প্রস্তুতি শেষ। বরের বাড়ির দাবি মতো যৌতুকও কেনা হয়ে গিয়েছে। বিয়ের বাকি মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তার মধ্যেই ভেস্তে গেল সব! সোমবার সকাল থেকেই বাড়ি ভরতি লোকজন। গায়ে হলুদ আসার জন্য অপেক্ষা করছিল কনের পরিবার। কিন্ত দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও গায়ে হলুদ আসেনি। বরের বাড়িতে ফোন যোগাযোগ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না কাউকে। আচমকা একটি ফোন আসে। জানা যায় হবু বরকে মগরা থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর তাই বিয়ে হবে না। এতেই কান্নার রোল বৈদ্যবাটির কনের পরিবারে।
বরের নাম সৈকত অধিকারী। বাড়ি হুগলির মগড়ার ত্রিবেণীতে। পেশায় ব্যবসায়ী। গত বছর নভেম্বর মাসে বৈদ্যবাটির এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল। সেই মতো সব ঠিকঠাক ছিল দুই পরিবারের মধ্যে। কিন্তু বাদ সাধলেন বরের প্রেমিকা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মগরা থানার পুলিশ রবিরার রাতেই হবুবর সৈকতকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত 9 বছর ধরে স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সৈকতের। অভিযোগ প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসও করতেন তিনি। তাঁকে বিয়ে না করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হয় ক্ষুব্ধ হন প্রেমিকা। এরপরই পুলিশ অভিযোগ করেন তিনি। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করে বরকে।
স্বভাবতই সমস্যায় পড়েছে কনের পরিবার। অতিথিদের জন্য রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সমস্ত রকম আয়োজন সারা। ভোর থেকেই শুরু হয় বিয়ের নানা উপাচার। পরিবার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হয় ছেলের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে যা শোনেন তাঁরা এরপর আর ওই পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে পারেননি। পাত্রীর মা বলেন, "বক্স খাট আলামারি আরও যৌতুক চেয়েছিল ছেলে। সেইমত সব কেনা হয়েছে। এত আয়োজন, আত্মীয় স্বজন নিমন্ত্রিত আমার অনেক টাকা খরচ হল, কী হবে। আমরা শাস্তি চাই ওই যুবকের।"
আরও পড়ুন: