মালদা, 30 সেপ্টেম্বর: রাতের অন্ধকারে এক বিধবাকে ধর্ষণ করতে গিয়ে উচিত শিক্ষা পেল এলাকারই এক যুবক ! বিছানার পাশে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আগন্তুক যুবকের যৌনাঙ্গে আঘাত করেন ওই মহিলা ৷ রক্তাক্ত অবস্থাতেই সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ৷ এই ঘটনায় সোমবার স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত মহিলা ৷ তিনি অভিযুক্ত যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন ৷ শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের একটি গ্রামে ৷
আক্রান্ত বিধবা মহিলার বক্তব্য, "আমার স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন ৷ তিনটি ছোট ছোট ছেলেমেয়ে রয়েছে আমার ৷ হাতপাখা আর কাঁথা তৈরি করে কোনওরকমে সংসার চালাই ৷ প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও আমি ঘরের দরজা খুলে ছেলেমেয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ৷ আমাদের এলাকায় চুরি-ছিনতাই হয় না বললেই চলে ৷ তাই গরমের দিনে দরজা খোলা রেখেই ঘুমোই ৷"
সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই রাত আটটা নাগাদ পাড়ারই ওই যুবক তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ ওই মহিলার ৷ তাঁর কথায়, "মুখ চেপে ধরে আমার উপর ছেলেটি চড়াও হয় ৷ সে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আমি মুখ থেকে তার হাত সরানোর চেষ্টা করি ৷ কিন্তু পারিনি ৷ তখন বিছানার পাশে রাখা কাঁথার কাপড় কাটার ধারালো ছুরি দিয়ে ওর যৌনাঙ্গে আঘাত করি ৷ আঘাত পেয়ে সে আমার মুখ থেকে হাত সরাতে বাধ্য হয় ৷ আমিও চিৎকার শুরু করি ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সে রক্তাক্ত অবস্থাতেই আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ৷"
ওই মহিলা আরও জানান, "পাড়ারই বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে ওই যুবককে আমি ভালো করেই চিনি ৷ সে পালিয়ে যাওয়ার পর আমি তার বাড়ির দিকে দৌড়াই ৷ আমার চিৎকারে ততক্ষণে ছেলেমেয়েরাও ঘুম থেকে জেগে উঠেছিল ৷ ওরাও আমার পিছন পিছন দৌড়াতে থাকে ৷ কিন্তু ওর বাড়িতে গিয়ে দেখি, ও সেখানে নেই ৷ ও কোথায় গিয়েছে, বাড়ির লোকজন বলতে পারেনি ৷ এদিকে আমার চিৎকার শুনে গ্রামের 30-40 বাসিন্দাও তখন ওর বাড়িতে চলে গিয়েছিল ৷ ছেলেটি দিনমজুরের কাজ করে ৷ জমিতে ধানও কাটে ৷ রবিবার সারাদিন খোঁজ না-মেলায় আজ আমি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ওর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ আমি ওর কঠোর শাস্তি দাবি করছি ৷"
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "ওই মহিলার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷ কিন্তু সে এলাকায় নেই ৷ চিকিৎসার জন্য সম্ভবত বাইরে রয়েছে ৷ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"