মালদা, 15 জুলাই: স্ত্রী মদ্যপান করায় প্রবল আপত্তি ৷ শাস্তি দিতে মদ খেয়ে স্ত্রী'কে খুন করল স্বামী ৷ শেষে গুণধরকে ইলেকট্রিক পোলের সঙ্গে বেঁধে গণপিটুনি স্থানীয়দের ৷ শেষ পর্যন্ত যদিও পুলিশ জনরোষ থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে ৷ মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৷ সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার ব্লকের কোতওয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধানতলা গ্রামের চাকলা পাড়ায় ৷
মৃতা সীমা পাহাড়ির (20) সঙ্গে গত বছর দেখাশোনা করেই বিয়ে হয় ধানতলা চাকলার যুবক বাবলু পাহাড়ির ৷ পেশায় শ্রমিক বাবলু প্রতিদিন মদ্যপ হয়ে বাড়ি ফেরায় সংসারে ঝামেলা-অশান্তি লেগেই ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ এনিয়ে সীমা মাঝেমধ্যেই স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা করতেন বলে জানিয়েছেন পড়শিরা ৷ সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ স্থানীয় মানুষজন ঘরের বাইরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন সীমাকে ৷ পাশেই বসেছিলেন বাবলু ৷ স্থানীয়রা যখন সীমার কাছে পৌঁছন, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ৷ বাবলু খুনের কথা স্বীকার করায় জনরোষ আছড়ে পড়ে তার উপর ৷ বেদম প্রহারে রক্তাক্ত হয় বাবলু ৷
যদিও বাবলু জানায়, তার বউ মদ খেয়েছিল ৷ তাই তাকে মেরে ফেলেছে ৷ মেয়ে হয়ে ও মদ খাবে কেন? সেই প্রশ্নও তোলে সে ৷ মৃতার মা দীপালি পাহাড়ি বলেন, "গ্রামবাসীরাই ফোন করে আমাকে এই খবর দেয় ৷ লাঠি দিয়ে মেরেছে নাকি গলা টিপে খুন করেছে তা বলতে পারব না ৷"
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য স্বরূপ দাস বলেন, “আমি তখন পঞ্চায়েত দফতরে ছিলাম ৷ ফোনে খবর পাই এখানে খুন হয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চলে আসি ৷ দেখি, মদ্যপ অবস্থায় স্বামী বাবলু পাহাড়ি গলা টিপে স্ত্রীকে খুন করেছে ৷ মৃতের শরীরে অনেক দাগও দেখেছি ৷ তবে কখন এই ঘটনা ঘটেছে আমি জানি না ৷ কেউ তা দেখেওনি ৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিই ৷ খবর পেয়ে ভিলেজ পুলিশও চলে এসেছে ৷ তারা তদন্ত করে গোটা ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে ৷ আমরা চাই, দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হোক ৷”