কলকাতা, 21 জুলাই: বাংলাদেশ নিয়ে তিনি কোনও কথা বলতে পারেন না ৷ ওটা আলাদা দেশ । যা বলার বা যা করার সেটা ভারত সরকারই করবে। এ কথা বলেও প্রতিবেশী দেশের অসহায় মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন ধরে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত বাংলাদেশ ৷
ইতিমধ্যেই সেদেশে এই আন্দোলনে কমপক্ষে 151 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে ৷ রবিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ কূটনৈতিক নিয়মের মধ্যে থেকে সেখানকার মানুষের পাশে থাকার কথাও জানালেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান ৷ তবে সরাসরি বাংলাদেশের সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না ৷ তিনি জানালেন, ওপার বাংলার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন ৷ বাংলাদেশের অসহায় মানুষ অশান্ত পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে সাহায্য চাইলে, তিনি আশ্রয় দেবেন ৷
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে । কারফিউ চলছে ৷ ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ ৷ এই অবস্থায় সেখানকার সকল নাগরিক অসুবিধের মধ্যে রয়েছেন ৷ বিশেষ করে, বাংলা থেকে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারা সংকটে ৷ এই অবস্থায় তাঁদের সাহায্যের মূল দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের ৷ তবে কেউ যদি রাজ্য প্রশাসনের সহায়তা চান তাহলে তাঁকে সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "চিন্তা করবেন না, কেউ সহযোগিতা চাইলে আমরা সাহায্য করব ৷" তবে, সেখানকার পরিস্থিতি এবং যে ইস্যুতে এই সমস্যা তা নিয়ে মমতার বার্তা, "আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না ৷ ওটা আলাদা দেশ ৷ সেটা ভারত সরকার বলবে ৷ তবে, এটুকু বলতে পারি, অসহায় মানুষ যদি বাংলায় আশ্রয়ের জন্য আমাদের দরজায় কড়া নাড়েন তাহলে তাঁদের নিশ্চয় আশ্রয় দেব ৷"
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "রাষ্ট্রসংঘের একটা রেজিলিউশন আছে, কেউ যদি রিফিউজি হয়ে যান তবে তার পার্শ্ববর্তী এলাকা তাঁকে সম্মান জানাবে ৷ অসমে একটা গণ্ডগোল হয়েছিল ৷ বোরোদের সঙ্গে তারা আলিপুরদুয়ারে দীর্ঘদিন ছিলেন ৷ আমিও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম ৷ কিন্তু, আপনাদের কাছে আমার আবেদন থাকবে, বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনাতে না যাই ৷ আমরা যেন কোনওভাবে উত্তেজিত না হয়ে পড়ি ৷ যারই রক্ত ঝরুক তাদের জন্য আমাদের সহমর্মিতা, আমাদের দুঃখ, আছে ৷ আমরাও নজর রাখছি ৷"