কলকাতা, 26 মে: "মিমি খুব ভালো মেয়ে। খুব ভালো অভিনয় করে। অভিনয় নিয়ে খুবই ব্যস্ত থাকে। তবু কাজ করেনি তা নয়। কিন্তু এখানে শক্ত কাউকে দরকার। এখানে কিছু লোক বদমাইশি শুরু করেছে। তাই সায়নীকে নিয়ে এসেছি।" যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের কারণ জানিয়ে এ কথাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ঢাকুরিয়ার সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, "মিমি অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও কাজ করেনি তা নয়। যখন যা বলেছি করেছে। আমি ফোন করে বলেছিলাম অন্য কোথাও দাঁড়াতে। কারণ, এখানে নরম হলে চলবে না। সায়নী স্ট্রং মেয়ে । ও সব সামলাতে পারবে।"
নির্বাচনের সব খবর পেতে ক্লিক করুন এখানে
2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তালিকায় থাকা দুটি নাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছিল। মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহানকে কেন প্রার্থী করা হয়েছিল, তা নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। এবার তাঁদের কেউই প্রার্থী হননি। নুসরতের সঙ্গে আগে থেকেই দলের দূরত্ব বেড়েছিল। তিনি যে আর টিকিট পাবেন না, তা মোটামুটি জানাই ছিল তৃণমূল কর্মীদের একটা বড় অংশের। তবে মিমিকে নিয়ে একটু হলেও সংশয় ছিল। নির্বাচনের দামামা বাজার পর একদিন রাজ্য বিধানসভায় যান মিমি। মমতাকে জানিয়ে দেন রাজনীতি থেকে সরে যেতে চান। এরপর প্রার্থী হিসেবে যাদবপুর থেকে সায়নীর নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: দল আসল, ব্যক্তি নয়; তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়াবার্তা মমতার
এদিনের সভা থেকে আরও কয়েকটি বিষয়ে সরব হন মমতা । কলোনি এলাকায় তিনতলা বা চারতলা ভবন নির্মাণ নিয়ে একটি সরকারি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। মমতা জানান, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই এই কাজ হয়েছে। তাঁর দাবি, সিপিএমের আমলে নিয়োগ হওয়া কোনও সরকারি আধিকারিক এই কাজ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "নোটিশের পালটা নোটিশ কী করে দিতে হয়, তা আমি জানি। বিষ দাঁত ভেঙে দেব। " এরপর বাংলার সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের যে ঘণিষ্ঠ যোগাযোগ আছে, সে কথা তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, "বাংলা না থাকলে স্বাধীনতা আসত না। ব্রিটিশদের এই দেশ থেকে হঠানোর কথা সবার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুই ভেবেছিলেন ।"
আরও পড়ুন: 'হারাতঙ্ক রোগে ভুগছেন মোদি', বিচারপতিদের একাংশকেও নিশানা মমতার