কলকাতা, 27 জুন: শাসকদলের দুই ভাবী বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে ৷ তারমধ্যেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে হকারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ৷ সেখানেই শপথগ্রহণ প্রসঙ্গে জানালেন, ‘‘রাজভবনে যে ঘটনা ঘটেছে, তারপর মেয়েরা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছে ৷’’
সম্প্রতি শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ৷ তারপর একাধিকবার তাঁকে আক্রমণ করেছে শাসকদল ও তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ বরানগরের জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা নিয়ে ফের সেই অভিযোগকেই টেনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
এদিন ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ? তিনি বলেন, ‘‘জেতার পরেও আমাদের বিধায়করা একমাস ধরে শপথ নিতে পারছে না। আমার বিধায়করা বসে আছেন, রাজ্যপাল শপথ নিতে দিচ্ছেন না। মানুষ ওদের সিলেক্ট করেছে ৷ ওনার কী অধিকার আছে ওদের শপথ নিতে না দেওয়ার। উনি হয় অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেবেন ৷ না-হলে উপাধ্যক্ষকে দায়িত্বভার দেবেন, নয়তো নিজে বিধানসভায় আসবেন। রাজভবনে কেন সবাই যাবে? রাজভবনে যে কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছে ৷ আমাকে কমপ্লেন করেছে ।’’
তাহলে কি এই ভয় থেকে রাজভবনে যাচ্ছেন না সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় । অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো ঠিকই বলেছেন । আমরা বয়সে ছোট, এসব নিয়ে বলতে চাইনি। তবে আমার মনেও প্রশ্ন উঠেছিল, দু’জন জিতলাম ৷ আমাকে কেন রাজভবনে একা ডাকা হয়েছিল ?’’ গতকালের পর আজও বিধানসভায় আম্বেদকর মুক্তির পারদেশের ধরনায় বসেছেন দুই বিধায়ক। এখনও তাঁরা নিশ্চিত নন, কবে শপথ অনুষ্ঠান হবে। দু’জনেই অবশ্য বলছেন, তাঁদের না-যাওয়ার কারণ স্পষ্টভাবে শপথ বাক্য কে পাঠ করাবেন তা না-জানানো ৷ বিধানসভাকে এই বিষয়ে অন্ধকারে রাখা।