শ্রীরামপুর, 26 মার্চ: শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিস্টার ইন্ডিয়া বলে কটাক্ষ করলেন বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর । মঙ্গলবার চণ্ডীতলায় প্রচারে গিয়ে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "সাংসদকে দেখা যায় না । উনি মিস্টার ইন্ডিয়ার মতো হয়ে গিয়েছেন । মাঝে মধ্যেই যেমন অদৃশ্য হয়ে যেত মিস্টার ইন্ডিয়া । তেমনই মিস্টার ইন্ডিয়ার ঘড়ি ছাড়াই সাংসদ কল্যাণ অদৃশ্য হয়ে যান ।" তবে দীপ্সিতার এই আক্রমণকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । ইটিভি ভারত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "ভিত্তিহীন কথা বলে লাভ নেই । আগামী দিনে মানুষ বিচার করবে ।"
বাম প্রার্থীকে পালটা জবাব দিয়ে তৃণমূলের শ্রীরামপুর শহরের সভাপতি সন্তোষ সিং বলেন, "কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাওয়া যায় কি যায় না সেটা শ্রীরামপুর লোকসভার মানুষ বলবেন ।15 বছরে ধরে কাজ করেছেন বলে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়েছে মানুষ । করোনার সময় মানুষের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ । সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের যে খতিয়ান সেটাও দীপ্সিতা ধরকে দিয়ে দেব । এ সব ভুলভাল কথা বলে সিপিআইএম শূন্যতে পরিণত হয়েছে । আগামীতে শূন্যই হয়ে যাবে ।"
চণ্ডীতলার তৃণমূল জেলা পরিষদ নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, "বাম প্রার্থী, এ সব মিথ্যা কথা বলে কোনও লাভ নেই । আমাদের সাংসদকে কাজের ভিত্তিতে মানুষ ভোট দেয় । বামেরা নতুন প্রজন্ম আনতে দেরি করে ফেলেছেন । এখন তৃণমূলের তিন প্রজন্ম প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে । আগামীতে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।"
মঙ্গলবার চণ্ডীতলা বিধানসভা এলাকার জনাই, হাটপুকুর, পূর্বপাড়া, কুমিরমোরা, জগন্নাথ বাটি-সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রচারপর্ব সারেন শ্রীরামপুরের বাম প্রার্থী দীপ্সিতা । হুডখোলা টোটোয় পাড়ায় পাড়ায় চলে প্রচার । চলতে চলতেই জনসংযোগ করেন । যেখানে ভিড় বেশি ছিল, সেখানেই মাইক নিয়ে ছোট ছোট বক্তব্য রাখেন ।
দীপ্সিতা বলেন, "আমরা দেখেছি দু'দিন আগে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়েছে । সেখানে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বলেছিল, এ বার জেএনইউতেও তারা ক্ষমতা পাবে । আমরা দেখলাম যখন নির্বাচন হল, চারটি আসনেই বামপন্থীরা জয়ী হলেন ।বিজেপি শূন্য হল । আমরা জানি, এই লাল ঝড় বাংলা তথা ভারতে আসবে । কারণ সাধারণ মানুষ জানে তাঁদের বন্ধু কে । কারা মানুষের দুঃখ দুর্দশা বোঝে ।"
এ দিন তিনি শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিস্টার ইন্ডিয়া বলে কটাক্ষ করে বলেন, "আমি শ্রীরামপুরের ভোটার, আমার বাড়ির সামনে দিয়ে কোনওদিনও কল্যাণবাবুকে যেতে দেখিনি ৷ গত 15 বছর ধরে তিনি এমপি । মিস্টার ইন্ডিয়া নামে একটা সিনেমা ছিল, যেখানে অনিল কাপুর ঘড়ি পরলেই অদৃশ্য হয়ে যেতেন । আমাদের সাংসদ ঠিক সে রকম ৷ কল্যাণবাবু ঘড়ি পরেন না ৷ কিন্তু তিনি অদৃশ্য হয়ে যান । এ রকম এমপি রেখে লাভ কী, যাকে চোখে দেখা যায় না, মানুষের পাশে থাকেন না ।"
আরও পড়ুন: