কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: সদ্য ভাঙড় থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম । ভাঙড়ের বেশ কয়েকটি থানা এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতাধীন হওয়ার পরেই ওই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয়, তার জন্য কড়া বার্তা দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল । এরপরই দেখা যায়, আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ । এ বার আরাবুলহীন ভাঙড়ের মানুষের প্রতি পুলিশের প্রতি আস্থা বাড়াতে নয়া উদ্যোগ নিল লালবাজার ৷ ওই এলাকার নারীদের স্বনির্ভর করে তুলতে 25 জন মহিলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে । তাঁদের মধ্যে থেকে একেক জনকে একেক রকম প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করতে চায় কলকাতা পুলিশ । যে মহিলারা বিউটিশিয়ানের কোর্স করতে ইচ্ছুক তাঁদের বিউটিশিয়ান কোর্স করানো হবে ৷ পাশাপাশি যাঁরা গাড়ি চালাতে ইচ্ছুক, তাঁদের গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ৷ মহিলাদের নিযুক্ত করা হবে অন্যান্য কাজেও ৷
তবে কেন ওই এলাকায় মহিলাদের উন্নয়নের উপর জোর দিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ ? এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের একজন অতিরিক্ত নগরপাল পদমর্যাদার আধিকারিক বলেন, মূলত ওই এলাকায় মহিলাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত মহিলা পুলিশ নিয়োজিত করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের কমিউনিটি পুলিশিং উইং রয়েছে । যার নাম কিরণ । এই কিরণ প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার কাজ করে আসছে কলকাতা পুলিশ । যেহেতু সদ্য ভাঙড় এলাকাটি বারুইপুর জেলা পুলিশের থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে এসেছে, তাই সেখানে ধীরে ধীরে কলকাতা পুলিশের যে কমিউনিটি পুলিশিং রয়েছে, সেটিও চালু করা বন্দোবস্ত করা হচ্ছে ।
সদ্য কলকাতা পুলিশের আওতায় এসেছে ভাঙড়ের চারটি থানা । ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান এবং কলকাতা পুলিশের নগরপাল ওই এলাকার প্রত্যেক অফিসার ইনচার্জ এবং ডেপুটি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয় ৷
সম্প্রতি এলাকায় তোলাবাজি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা বলে পরিচিত আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ বর্তমানে আরাবুল রয়েছেন কলকাতা পুলিশের হেফাজতে । গত নির্বাচনে ভাঙড়ে সাংঘাতিক উত্তেজনা ছড়ায় এবং আইএসএফ ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, বোমা, গুলির বন্যা ছোটে ৷ সেই সময় এলাকাটি ছিল বারুইপুর পুলিশের অধীন ।
আরও পড়ুন: