কলকাতা, 30 এপ্রিল: জাদুঘরে বিস্ফোরক রাখা রয়েছে বলে হুমকি। একই হুমকি, দেওয়া হয়েছে রাজভবন-সহ সরকারি একাধিক অফিসের ক্ষেত্রে । হুমকি মেল আসার পরই রাজভবন এবং ভারতীয় জাদুঘরের তরফে যোগাযোগ করা হয় কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (স্পেশাল ট্রাস্ট ফোর্স)-সহ গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় জাদুঘর এবং রাজভবনের পাশে কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী সার্চ অপারেশন শুরু করেছে। এর আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দুই দিন বিস্ফোরক রাখা রয়েছে বলে হুমকির ফোন আসে ৷ এরপরেই কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। এদিন জাদুঘর-সহ রাজভবনে বোমা রাখার মেল প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, "ইতিমধ্যেই যে মেল মারফত এই হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই ই-মেলের আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করছেন কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা ৷ এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্ট ফোর্সের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি তদন্তে নামানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলকেও।"
ইতিমধ্যেই রাজভবনের সামনে এবং রাজভবনে ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা জড়ো হয়েছেন। নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতা পুলিশের স্নিফার ডগ। কোথাও কোনও বোমা আদৌ রাখা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তার খোঁজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল-এর গোয়েন্দারা।
সম্প্রতি, পরপর বেশ কয়েকটি 'উড়ো' মেলে দেশের একাধিক বিমানবন্দরে বোমাতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে ৷ সোমবার রাতে বারাণসী-সহ দেশের 30টি বিমানবন্দর বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেল পেয়েছে ৷ তারপর থেকেই দেশের প্রায় সমস্ত বিমানবন্দর চত্বরে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে ৷ সাম্প্রতিককালে কলকাতা বিমানবন্দরেও একাধিক হুমকি মেল পাঠানো হয়েছে ৷ পরবর্তিতে অবশ্য অধিকাংশই 'ভুয়ো' বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা ৷ তবে এই ঘটনাগুলির পিছনে কে বা কারা জড়িত রয়েছে, তা জানতে তদন্ত চলছে ৷
আরও পড়ুন
রাজারামের বিষয়ে বিশদে জানতে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ইমেল লালবাজারের