কলকাতা, 4 অক্টোবর: রাস্তার কাজে জেসিবির চাকায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বাঁশদ্রোণীর এক কিশোরের । এলাকার কাউন্সিলরকে ঘটনাস্থলে দেখা না গেলেও প্রায় একদিন পর মুখ খুললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন তিনি । পাশাপশি পরিবারের সব ধরনের প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন ।
বুধবার বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়ে যায় 113 নম্বর ওয়ার্ডের দীনেশ নগর এলাকা । এই ঘটনার পর স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি । সেই ঘটনার দেড় দিন কেটে যাওয়ার পর কিশোরের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । ছাত্রের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাসের দিয়েছেন তিনি।
এদিন ফিরহাদ হাকিম জানান, কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর কাছে ভাষা নেই । তিনি মর্মাহত এবং দুঃখিত। তবে ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানালেন মেয়র । এই কাজের বরাত কোন ঠিকাদার সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে তাও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান মেয়র । তবে এই সমস্ত অঞ্চলের অনুন্নয়নের জন্য বাম আমলকেই দুষেছেন তিনি । তাঁর অভিযোগ, "বাম বোর্ডের আমলে এই সমস্ত অঞ্চলে নিকাশি ব্যবস্থা করা হয়নি । পরে কেইআইআইপি-র মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছিল । যেহেতু নিকাশি কাজ চলছিল তাই রাস্তার কাজ করা হয়নি। কারণ সেই জায়গায় বড় বড় নিকাশি পাইপ লাগানোর কাজ চলছিল।"
মেয়রের আরও দাবি, "কলকাতা পুরনিগম কেইআইআইপি-কে বলেছিল যে, তারা রাস্তার তৈরি করার টাকা কলকাতা পুরনিগমকে দিয়ে দিলে তারাই রাস্তা তৈরি করে দেবে। কিন্তু কেইআইআইপি-র নিয়ম অনুযায়ী সেটা করা সম্ভব হয়নি।" ফলে রাস্তার কাজ আটকে গিয়েছিল বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি এই ঘটনার পর স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, "যদি এই ধরনের কাজ কোথাও হয় তখন সহযোগীদের রাখতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। যাতে এই ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।"