কলকাতা, 15 অগস্ট: স্বাধীনতা দিবসের প্রাককালে রাতে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মাঝেই তাণ্ডব চলল আরজি কর হাসপাতালে ৷ ভয়ঙ্কর অবস্থা ধরা পরল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে। একদল দুষ্কৃতী আচমকা তাণ্ডব চালাল হাসপাতালে ৷ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ ৷ যদিও এই হামলা কারা চালাল, তাদের পরিচয় এখনও অজানা।
জানা গিয়েছে, মধ্যরাতে পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি করে গেট ভেঙে একদল দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে আরজি কর হাসপাতালে ৷ প্রথমেই তারা ভাঙচুর চালায় চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলন মঞ্চে। সেখান থেকে সোজা তারা ঢুকে যান ইমার্জেন্সি বিভাগে। জরুরি বিভাগে গিয়েও নির্বিচারে ভাঙচুর চালায় ওই দুষ্কৃতীরা ৷
কিন্তু এরা কারা, কেনই বা হঠাৎ ভাঙচুর চালানো হল আরজি মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে ? সেই প্রশ্ন উঠলেও, তার উত্তর এখনও অধরা ৷ আন্দোলনকারীদের পালটা প্রশ্ন, ইমারজেন্সি বিভাগের ভিতরে ঢুকে কোনওভাবে তারা সেমিনার হলের সামনে গিয়ে কোনও প্রমাণ লোপাট করেনি তো ? কারণ প্রায় 50 জনেরও বেশি মানুষ ঢুকে গিয়েছিল এদিন রাতে ইমার্জেন্সি বিভাগের ভিতরে। এছাড়াও হাসপাতালের ভিতরে যে সমস্ত চেয়ার বা আন্দোলনকারীদের মঞ্চ ছিল তাও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ ঘটনার পর পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে গোটা ইমার্জেন্সি বিভাগ কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে ৷
আরজি কর কাণ্ডে তদন্তের প্রথমদিনেই প্রায় একমাসের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সিবিআই ৷ হাসপাতালের সেমিনার হলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা তদন্ত প্রক্রিয়া চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷ পাশাপাশি, ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তের জন্য একটি সিট গঠন করা হয়েছে ৷