কলকাতা, 15 জুন: কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে জরাজীর্ণ অবস্থা একাধিক সেতুর । স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বেহাল অবস্থা ধরা পড়েছে ধনধান্য সেতু, চেতলা সেতু, কালীঘাট সেতু-সহ আরও বেশ কয়েকটি। আর্থিক সঙ্কট থাকার কারণে সেতুগুলো সংস্কার করা বা প্রয়োজনে ভেঙে তৈরি করা সম্ভব হয়নি । এবার সেই কাজে ফের গতি আনতে চলেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)।
কেএমডিএ সূত্রে খবর, কালীঘাট সেতু, জিরাট সেতু, ধনধান্য সেতু, চিৎপুর সেতু এবং ওল্ড দুর্গাপুর ব্রিজ-সহ 20টি জীর্ণ সেতু সংস্কার করা হবে। সেকারণে দ্রুত ডাকা হবে টেন্ডারও । এই তালিকায় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল কালীঘাট সেতু । কারণ প্রতিদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সেতুর উপর দিয়েই গাড়িতে করে নবান্ন আসা যাওয়া করেন । আগে ওখানে দুটি সেতু ছিল । পরে সেই দু'টিকে ভেঙে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এখন সেই সেতুর স্বাস্থ্যের হালও খুব খারাপ। সেতুটির গার্ডার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে । তাই ভেঙে নতুনভাবে তৈরি করতে হবে সেতুটিকে ।
মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের ছাড়পত্র পেলে ওই সেতু ভেঙে ফের নতুন করে তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে । তবে ওই সেতুতে দ্রুত কাজ করতে চাইছে কেএমডিএ। সেতুটি দিয়ে মূলত বড় যানবাহনগুলোর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় । তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ক্ষমতাও ক্রমশ হারাচ্ছে । ফলে অনুমতি পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী কর্তৃপক্ষ ।
এছাড়াও জিরাট সেতুটি নতুন করে করতে হবে । ধনধান্য সেতু আমূল সংস্করণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । তবে ওই অংশের কাজের জন্য সেনাবাহিনীর অনুমোদন প্রয়োজন । সেইসঙ্গে রাস্তার পাশে খানিকটা জমিও লাগবে । খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বাকি সেতুগুলিরও ৷ গার্ডার সরানো, পিলার মেরামত, গার্ড ওয়াল মেরামত সবটাই করতে হবে বলে জানিয়েছেন কেএমডিএ-র আধিকারিকরা । এক আধিকারিক বলেন, "সেতুর একটি বিশেষ কমিটি রয়েছে ৷ খুব শীঘ্রই এই সংস্করণের বিষয়ে নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসা হবে । কোন সেতুতে কি কি কাজ করতে হবে, তার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়বে সেখানে । সেই মতো কাজ করা হবে ।"