কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর: ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। সেই আন্দোলনে তাঁদের প্রথম থেকে একটাই কথা-'নো সেফটি নো ডিউটি'। ফলে প্রায় এক মাস ধরে কর্ম বিরতিতে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে, রোগী পরিষেবায় রয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে এল কড়া বার্তা। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে সকল জুনিয়ার চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। যা নিয়ে বৈঠক করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে জুনিয়র চিকিৎসকের সব সিদ্ধান্তের পাশে থাকার বার্তা দেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর।
এই বিষয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের সদস্য তথা পূর্ব বর্ধমানের ডেপুটি সিএমওএইচ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "আমরা দেখলাম রাজ্য সরকার তথ্য লোপাটের পক্ষে সওয়াল করছে সুপ্রিম কোর্টে। সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তার পাশাপাশি যে তথ্য তারা তুলে ধরেছে শীর্ষ আদালতে তা অবান্তর। কারণ বর্তমানে কতজন মারা গিয়েছে সেই হিসেবটি বলতে গেলে জানাতে হবে গতবছরগুলিতে এই সময়ে কত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাহলে স্পষ্ট হবে এই আন্দোলনের জেরে আদৌ রোগী পরিষেবা ব্যাহত রয়েছে কি না।"
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের আরেক সদস্য চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত বলেন, "আমরা প্রথম থেকেই বলছিলাম অনেক তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। আমাদের এই আশঙ্কা সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সত্যি হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে শেষ পর্যন্ত কী হয় সেই দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি। তাঁরা যেভাবে তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে চায়, আমরা পাশে আছি।"
একই কথা বলেন, চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেবেন কি না সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের সিদ্ধান্ত। তবে যথাযথ বিচার আমাদের দিতে হবে। নয়তো আন্দোলনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।" অন্যদিকে, চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনের জেরেই আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাস্থ্যভবনের দুর্বৃত্তি এবং থ্রেট কালচার প্রকাশ্যে আসছে। তাদের আন্দোলনের জন্য আমরা একাধিক সত্য জানতে পারছি। তাই তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমার তার পাশে আছি।"