কলকাতা, 17 এপ্রিল: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গার্ডেনরিচকাণ্ডের রিপোর্ট তৈরি করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় । তাই বাড়তি দু'সপ্তাহ সময় লাগবে পৌরনিগমের তদন্ত কমিটির । বাসিন্দাদের নিরাপত্তা থেকে ন্যূনতম আইন, কোনও কিছু তোয়াক্কা করেনি প্রোমোটার । জমা পড়া অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট এমনই সব তথ্য উঠে এসেছে বলেই কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর ।
একমাস হয়ে গেলেও গার্ডেনরিচে বাড়ি ভাঙার ঘটনার রেশ কাটেনি । এখনও তদন্ত শেষ করে উঠতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন ৷ ঘটনার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে পৌর প্রশাসন । একের পর এক বৈঠক ও একাধিক নির্দেশিকা জারি হয়েছে কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে । লক্ষ্য একটাই, যে কোনও উপায়ে বেআইনি নির্মাণ ঠেকানো। আর যাতে গার্ডেনরিচ স্মৃতি না-ফেরে মহানগরবাসীর মনে সেই দিকে নজর দেওয়া ।
তবে এই দুর্ঘটনার পর পৌর কমিশনার ধবল জৈনের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাও চোখ কপালে ওঠার মতো ৷ কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাতটি বিষয় উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি । সেগুলি হল- নির্মাণ কাজের যে অংশে জমি জলা বলা হচ্ছিল সেখানেই কয়েক হাজার ইট রাখা ছিল ৷ তার ফলেই ভিত বসে গিয়েছে । নিয়ম না-মেনে উপর থেকে দেওয়াল করার জেরে নিচের অংশ ফাঁপা হয়ে গিয়েছিল । সিমেন্ট, বালি থেকে স্টোন চিপস ও লোহা; কোনও উপকরণের গুণগত মান সঠিক ছিল না । সমগ্র কাঠামো ছিল গোঁজামিল দেওয়া ।
প্রোমোটার বিন্দুমাত্র দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেননি এই কাজে । এত বড় নির্মাণের কোনও নকশা অনুমোদন করার জন্য আবেদন করা হয়নি । বাসিন্দাদের ন্যূনতম নিরাপত্তার বিষয়ে ভাবা হয়নি । বিশেষ কমিশনার জ্যোতির্ময় তাঁতির নেতৃত্বে যে কমিটি হয়েছে তারাই এই সমস্ত বিষয় অন্তর্বর্তীকালীন তদন্তে উল্লেখ করেছে। তদন্তের জন্য ভাঙা কংক্রিটের নমুনা সংগ্রহ করলেও মাটি পরীক্ষা করার নমুনা নিতে বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে ৷ কারণ একের পর তিন থেকে চারটি তলার কংক্রিট কেটে নিচে মাটিতে পৌঁছতে হয়েছে । এই সমস্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় । তাই আরও কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছেন তাঁরা ।
আরও পড়ুন :