চন্দননগর, 11 নভেম্বর: রাস্তার ধারে চেয়ার পেতে বসে লোকজন ৷ সকলেই শোভাযাত্রা দেখার অপেক্ষায় ৷ একের পর এক প্রতিমা আসছে ৷ সঙ্গে আলোকসজ্জার থিম ৷ কোথাও নাগরদোলায় দুলছে কচিকাচার দল, তো কোথাও ড্রাগন মাছ হাঁ করছে ৷ কোথাও আবার মোরগ ডাকছে ৷ কোনও পুজো কমিটি আবার আলোকসজ্জার থিমে সবুজ বাঁচানোর বার্তা দিচ্ছে ৷ সবই আলোর খেলা ৷
চোখ ধাঁধানো আলোর রোশনাইয়ের সঙ্গে ব্যান্ডপার্টির সুরে জমজমাট চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী বিসর্জন শোভাযাত্রা । এবছর চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির তরফে 69টি বারোয়ারি অংশ নিয়েছে । প্রতিমার সঙ্গে আলোকসজ্জা নিয়ে যেতে মোট 245টি লরি বা ট্রলি রয়েছে ৷ যার প্রতিটিতে আলোর থিম । চন্দননগরের তেমাথা থেকে স্ট্যান্ডরোড, তোলা ফটক, পালপাড়া হয়ে পরিক্রমা করবে এই শোভাযাত্রা । চন্দননগর ছাড়াও অন্যান্য জায়গার আলোকশিল্পীরাও এই আলোকসজ্জা তৈরি করেছেন ৷ এই এক রাতে আলোকসজ্জার পিছনে প্রায় 8 লক্ষ থেকে 25 লক্ষ টাকার খরচ হয় ।
শোভাযাত্রার জন্যও আলাদা থিম হয় চন্দননগরে ৷ যেমন হালদারপাড়া আদি বারোয়ারির এবারের শোভাযাত্রার থিম ফিরিয়ে দাও । বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবী ধ্বংসের পথে ৷ সবুজায়নের বার্তা দেওয়া হয়েছে আলোর মাধ্যমে । চোখ ধাঁধানো আলোয় এই থিম মানুষের মন কাড়বে বলে দাবি বারোয়ারি সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ।
শোভাযাত্রার জন্য চন্দননগরের রানিঘাট, বাবুঘাট-সহ একাধিক ঘাটে সারারাত ফেরি সার্ভিস চালু থাকছে । অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে কয়েকহাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে ৷ চলছে টহল ৷ পূর্বরেলের তরফে পুজোর চারটে দিন স্পেশাল ট্রেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে । রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা ।
কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজোর সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ জানান, প্রতিটি বারোয়ারি নিজেদের শোভাযাত্রা নিয়ে বেরিয়েছে ৷ সারারাত শোভাযাত্রা চলবে । 69টি প্রতিমার নিরঞ্জন হবে । চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও চন্দননগর পৌরনিগম সমস্ত রকম সাহায্য করছে ।