বহরমপুর, 13 মার্চ: নিজের গড়েই পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে শুনতে হল গো-ব্যাক স্লোগান। তৃণমূল সমর্থকরা অধীরকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান দিলেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ অধীর মেজাজ হারালেন। তিনি বলেন, "সাংসদ কোটায় উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন খোদ জেলাশাসক। তৃণমূল থেকে শিখিয়ে দেওয়া কয়েকজন পুতুলের মতো স্লোগান তুলছেন।" ক্ষুব্ধ অধীর প্রশাসন ও তৃণমূলকে এদিন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, "বহরমপুরে একটি ছাপ্পা ভোট হতে দেব না। রিগিং হতে দেব না। ভোটাররা নিজেদের ভোট নিজেরাই দিতে পারবেন।"
প্রায় তিন দশক বহরমপুরকে শাসন করে আসছেন অধীর। বহরমপুর তাঁর নিজের গড়। সাংগঠনিকভাবে আগের থেকে দুর্বল হলেও তাঁর মিথ কেউ ভাঙতে পারেননি। কিন্তু সেই বহরমপুরেই মুর্শিদাবাদের 'রবিনহুড'কে শুনতে হল গো-ব্যাক স্লোগান। তাহলে কি অধীরের ধার কমছে? রাজনৈতিক মহলে উঠছে এমন প্রশ্ন ৷ এদিন অধীর চৌধুরী ইন্দ্রপ্রস্ত এলাকায় সাংসদ কোটায় পানীয় জলের প্রকল্পের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রকল্পে নো-অবজেকশন চেয়ে বাধা দেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র।
অধীর ইন্দ্রপ্রস্ত এলাকায় পা-দিতেই এদিন গো-ব্যাক স্লোগান তোলে বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থক ৷ ঘটনার জেরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। কাজে বাধা পেয়ে ফিরে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন। অধীর চৌধুরী বলেন, "তিনমাস আগে নতুন নিয়ম হয়েছে। সাংসদরা তাঁদের টাকা যে কোনও সময় উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমি পানীয় জলের ব্যবস্থা করছিলাম। ইতিমধ্যে 80টি কল বসিয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, "আজ ইন্দ্রপ্রস্তে হঠাৎ আমাকে বাধা দেওয়া হয়। এতদিন নো-অবজেকশন চাওয়া হয়নি। আজ চাওয়া হচ্ছে।" এরপর কার্যত সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, "এবার বহরমপুরে একটিও রিগিং করতে দেব না। একটিও ফলস ভোট পড়তে দেব না। জেলা প্রশাসন আর তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলে দিলাম। প্রত্যেকে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন।" প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে ছাপ্পা ভোট রুখতে কার্যত রাস্তায় দৌড়তে দেখা গিয়েছে অধীর চৌধুরীকে।
আরও পড়ুন: