কলকাতা, 17 অগস্ট: আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷ এই ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছেন সন্দীপ ঘোষ ৷ শুক্রবার দুপুরে মাঝ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে ফের শনিবার সকালে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন ৷ এই প্রতিবেদনটি লেখার সময়েও তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷
- সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে জঘন্য অপরাধের ঘটনা ঘটে, সেই সময় তিনি হাসপাতালের অধ্যক্ষ ছিলেন ৷ তাই অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি একজন অধ্যক্ষের কর্তব্য পালন করেছিলেন কি ?
- পাশাপাশি যেদিন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ঘটনাস্থল অর্থাৎ প্লেস অফ অকারেন্স ভেঙে দেওয়া হল, আর তিনি কিছুই জানতে পারলেন না এটা কীভাবে সম্ভব ?
- এছাড়াও সন্দীপ ঘোষের থেকে গোয়েন্দারা জানতে চাইছেন, এই ঘটনাটি ঘটার পর তিনি কার কার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ?
তবে সিবিআই সূত্রের খবর আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কোনও ইঙ্গিত পূর্ণ উত্তর পাওয়া যায়নি ৷ বরং তিনি সব প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন ৷
শনিবার সকাল দশটা নাগাদ হাসপাতালে আসেন সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল ৷ তারা তো আজও ঘটনাস্থলে থ্রিডি ম্যাপিং পদ্ধতিতে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করেন ৷ আরজি কর হাসপাতালে যখন সিবিআই এর গোয়েন্দারা এই আধুনিক পদ্ধতিতে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করার কাজে নেমেছেন, তখন সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ৷
সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরেই একজন অধ্যক্ষ হিসেবে যা যা করণীয়, সেসবই তিনি করেছিলেন ৷ এদিকে সিবিআই-এর দাবি, সন্দীপ ঘোষ তাঁর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের জানালেও খাতায়-কলমে তার কোনও তথ্য প্রমাণ পাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷