কলকাতা 24 এপ্রিল: 'কালিঘাটের কাকু' সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর পরীক্ষার নমুনা রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিল ইডি। তদন্ত করতে গিয়ে মোবাইল থেকে যে কণ্ঠস্বর পাওয়া গিয়েছিল, তার সঙ্গে 'কাকু'র কণ্ঠস্বর মিলেছে বলেই বুধবার আদালতকে জাানান ইডির আইনজীবী। তবে ইডির তদন্তে কেন গতি আসছে না, সেই বিষয়ে আইনজীবীকে মৃদু তীরস্কারও করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা । তিনি বলেন, "আগে আপনারা বলছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া যাচ্ছে না বলে তদন্ত এগোচ্ছে না । এখন বলছেন, মানিক ভট্টাচার্যকে সুপ্রিম কোর্ট সুরক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছে বলে তদন্ত বাধা পাচ্ছে !"
এখানেই বিচারপতির প্রশ্ন, "লিপস অ্যান্ড বাউন্সের আয়ের উৎস সম্পর্কে আদালত আগেই জানতে চেয়েছিল । সেটা কি জানা গিয়েছে? ইডিকে আরও কয়েকটি প্রশ্ন করেন বিচারপতি সিনহা। তিনি জানতে চান, লিপস অ্যান্ড বাউন্সের টাকা এলো কোথা থেকে? তার সঙ্গে নিয়োগ দূর্নীতির টাকার কি যোগ রয়েছে? সেই তথ্য কই? আপনারা কোম্পানির টাকার উৎস কি, সেটা খোঁজার চেষ্টা করেছেন?"
এর উত্তরে ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, "আমারা রাত জেগে কাজ করছি। খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা আরও একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি ।" এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর বিচারপতি সিনহা পালটা বলেন, "কিন্তু আপনারা তো পুরনো রিপোর্টই দিচ্ছেন ! আদালত আপনাদের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় । আদালত দেখতে চায়, আপনারা নতুন কী তথ্য পেয়েছেন।"
এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দূর্নীতিতে এখন পর্যন্ত ১৩৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এমনই দাবি করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। তবে, এই টাকা বিপুল দূর্নীতির নিরিখে যৎসামান্য বলেই মনে করেন বিচারপতি। পাশাপাশি ইডিকে তাদের তদন্তে গতি আনার নির্দশ দিয়েছেন বিচারপতি। এছাড়া, সিবিআইয়ের তরফেও এদিন রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে আদালতে। ১২ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: