কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি: রেশন দুর্নীতি মামলায় শংকর আঢ্যর উপর চাপ তৈরির করার অভিযোগ উঠল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ জেলে গিয়ে তাঁকে দিয়ে জবরদস্তি বেশকিছু নথিতে সই করিয়েছে ইডি ৷ আর তার প্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইল বিশেষ আদালত ৷ আগামী 20 ফেব্রুয়ারি এই অভিযোগের জবাব দেবে ইডি ৷ তবে, শংকর আঢ্যকে আজ 2 মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
আজ নগরদায়রা আদালতে ইডির বিশেষ এজলাসে রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শংকর আঢ্যের শুনানি ছিল ৷ সেখানে শংকরের আইনজীবী অভিযোগ করেন, জেলে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা তাঁর মক্কেলকে দিয়ে বেশ কিছু নথিতে সই করিয়েছেন ৷ আর তা করানো হয়েছে একপ্রকার জবরদস্তি ৷ ইডি-র বিরুদ্ধে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী আধিকারিককে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক শুভেন্দু সাহা ৷
20 ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৷ সেখানেই ইডি আধিকারিককে সম্পূর্ণ কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে ৷ সঙ্গে শংকর আঢ্যর আইনজীবীর অভিযোগ সত্যি কিনা, তার জবাব চাইবে আদালত ৷ আর মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি সই করানো হলে, তা নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা, তারও জবাব দিতে হবে ইডি আধিকারিককে ৷ উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর সহযোগী হিসেবে বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যকে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইডি ৷
সম্প্রতি এই মামলায় শংকর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার সকালে গ্রেফতার করে ইডি ৷ অভিযোগ, রেশন দুর্নীতিতে যে কোটি কোটি কালো টাকা আসত, তা নিজের ফরেন এক্সেঞ্জ কোম্পানিতে খাটাতেন বিশ্বজিৎ ৷ মঙ্গলবার সকাল থেকে ইডির ম্যারাথন তল্লাশি চলে শহরের মোট ছ'টি জায়গায় ৷ যার মধ্যে অন্যতম ছিল, বিশ্বজিৎ দাসের আবাসন ৷ সূত্রের খবর, এই বিশ্বজিৎ দাস মূলত ফরেন মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন এবং শংকর আঢ্যর সঙ্গে একাধিক ব্যবসাতেও তিনি যুক্ত ছিলেন ৷
আরও পড়ুন: