কলকাতা, 23 এপ্রিল: একদিকে রাজনৈতিক উত্তাপ অন্যদিকে গ্রীষ্মের প্রখর দহন, দুই যেন এক অপরকে টেক্কা দেওয়ার দৌড় শুরু করেছে ৷ একাধিক রাজ্যে তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি অতিক্রম করে গিয়েছে। হাঁসফাঁস গরম উপেক্ষা করেও আমজনতা গণতন্ত্রের অধিকার প্রয়োগ করতে যাচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে এবার ভারতীয় মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা সমস্ত রাজ্যের জেলা শাসক ও জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই।
আগামী 26 এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ ৷ তার আগে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়বে। সঙ্গে বইবে লু। তাই এর মধ্যে কিভাবে নির্বিঘ্নে ভোট করানো যায়, সেই বিষয় ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এরপরই সোমবার মৌসম ভবনের (আইএমডি ) আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আইএমডির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগে রয়েছে চিফ ইলেকশন কমিশনার রাজিব কুমার নিজেই।
এই বৈঠকে ঠিক হয়, নির্বাচন কমিশন, ভারতীয় মৌসম ভবন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আধিকারিকদের নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠিত হবে ৷ সেই ফোর্স প্রত্যেক নির্বাচনের 5 দিন আগে যে যে কেন্দ্রে ভোট, সেই জায়গার আবহাওয়া নিয়ে জরুরি বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আধিকারিকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনামা জারি করে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে এবং সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন শুরুর আগে, অর্থাৎ গত 16 মার্চ কমিশনের দেওয়া উপদেষ্টা অনুযায়ী শামিয়ানা, পানীয় জল, পাখা এবং অন্যান্য সুবিধা ভোট কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিশ্চিত করতে রাজ্যের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে একটি পৃথক আলোচনা হয়েছে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় নির্বাচন কমিশন সবকটি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে সংশ্লিষ্ট জেলার আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে করবে। করতে হবে রিভিউ মিটিং ৷ প্রতিটি বুথে শামিয়ানা টাঙানো থেকে শুরু করে ফ্যান রাখা ও পর্যাপ্ত ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে কি কি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত তা নিয়ে সচেতনতামূলক অভিযান চালানো হবে।
আরও পড়ুন: