বংশীহারি, 21 ফেব্রুয়ারি: পারিবারিক বিবাদের জেরে দুই ভাই অস্ত্র নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন । তাতেই মৃত্যু হল দাদার ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বংশীহারি থানার এলাহাবাদ পঞ্চায়েতের দরগা মোড় এলাকায় । মৃত যুবকের নাম সামীম রেজা (27) । বাড়ি বংশীহারি থানার চেরাগীপাড়া গ্রামে । গুরুতর আহত হয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃতের ভাই নাসিম রেজা । তাঁর বয়স 24 বছর ৷ খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দরগা মোড় এলাকায় হাট বসেছিল ৷ সেই হাটের পাশে এক জমিতে দুই ভাইয়ের বচসা থেকে মারপিট শুরু হয় । ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দু'জনেই আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে । খবর পেয়ে দু'জনকেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রশিদপুর হাসপাতালে পাঠায় বংশীহারি থানার পুলিশ । এর মধ্যে দাদা সামিম রেজাকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ মৃতের ডান হাতে অনেকটা জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে । আর নাসিম গুরুতর আহত অবস্থায় গঙ্গারামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তাঁর দেহে 14টি সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ দু'জনের কাছেই ধারালো অস্ত্র ছিল বলে স্থানীয়দের অনুমান ।
এই বিষয়ে মৃতের ভাই নাসিম রেজা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন,"মঙ্গলবারই আমি বেঙ্গালুরু থেকে গ্রামে এসেছি । পারিবারিক শত্রুতার জেরেই আমাকে আঘাত করে দাদা । আমি বাজারে আসছিলাম সেই সময় আমাকে একা পেয়ে চাকু মেরে দেয় । কোথায় ছিল আমি জানি না ৷ হঠাৎ করে এসে আমাকে চাকু মেরে দিল । সেই সময় বাজারের মধ্যে প্রচুর লোক ছিল ৷ কিন্তু চাকু মারতে দেখে সেখানে থাকার লোকজন পালিয়ে যায় । পরবর্তীতে আমার বাড়ির লোকজন আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে রশিদ হাসপাতালে ও পরে কালদিঘি হাসপাতালে নিয়ে আসে ।"
এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী জালালুদ্দিন আহমেদ বলেন, "দু'জনের কাছে চাকু ছিল কি না, বলতে পারব না ৷ আমি অনেক পরে আসি ঘটনাস্থলে । কাকুর ছেলে এবং জেঠুর ছেলে একে অপরকে আঘাত করে ৷ সেখানে একজন মাঠের মধ্যে লুটিয়ে পড়ে । দু'জনে একে-অপরকে চাকু মারার ফলে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং অন্য একজন বর্তমানে কালদিঘি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।"
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, দরগা মোড় এলাকায় একটি ঘটনা ঘটেছে । বংশীহারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে রশিদপুর হাসপাতালে ৷ কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে ৷ অন্য একজন বর্তমানে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বংশীহারি থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন :