কলকাতা, 20 জুলাই: তৃণমূলের মেগা সমাবেশের দিন চলছে না বাড়তি মেট্রো ৷ তবে বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা ৷ শনিবার যখন মেট্রোর তরফে এমনটা জানানো হচ্ছে তখনই 21 জুলাই সমাবেশ স্থল পরিদর্শন করে রেলের উদ্দেশে সুস্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বড় অনুষ্ঠান বা সমাবেশের দিন সাধারণত ট্রেন বাড়ানো হয় বলেও এদিন জানালেন মমতা ৷
রবিবার 21 জুলাইয়ের জন্য কলকাতামুখী হবেন বহু মানুষ। তাই স্বাভাবিকভাবেই মেট্রোতেও অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি ভিড় হবে। তাই ভিড় সামাল দিতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক ব্যবস্থা নিতে চলেছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তবে বাড়ানো হয়নি মেট্রোর সংখ্যা। রবিবার রেল পরিষেবা যাতে স্বাভাবিক থাকে এবং পরিষেবা অন্যান্য দিনের তুলনায় বাড়ানো হয় তা নিয়েও মুখ খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷
তৃণমূল সূত্রে খবর, 21 জুলাইয়ের দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা জনসভায় যোগ দিতে আসবেন কয়েক লক্ষ মানুষ। যার জেরে রাস্তায় ব্যাপক যানজট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এই সবদিক মাথায় রেখে রেল পরিষেবা যাতে স্বাভাবিক থাকে তার জন্য তৃণমূলের তরফে আগেভাগেই জানানো হয়েছিল ৷ শনিবার সন্ধ্যায় ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের সভাস্থল পরিদর্শনে এসে তা ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ তারপরও অবশ্য বাড়ছে না মেট্রোর সংখ্যা ৷
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা রেলকে 15 দিন আগেই মিটিং করে বলেছিলাম, ট্রেন যেন বাতিল বা বন্ধ করা না হয় ৷ আমরা আবেদন করছি রেল পরিষেবা যেন ঠিক থাকে ৷" এরই সঙ্গে তিনি জানান, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কোনও বড় ইভেন্টের দিন সাধারণত ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে নজর দিতেন ৷ তা না-হলেও রেল পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার আবেদন করেছেন মমতা ৷
অন্যদিকে, মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, মেট্রো সংখ্যায় কোনও রদবদল হচ্ছে না। অন্যান্য রবিবারের মতোই থাকছে পরিষেবা। আগামীকাল ব্লু লাইনে সারাদিনে 130টি মেট্রো পরিষেবা চলাচল করবে। গ্রিন লাইন, পার্পল লাইন ও অরেঞ্জ লাইনে পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
তবে মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদনি চক, এসপ্ল্যানেড, পার্ক স্ট্রিট ও ময়দান মেট্রো স্টেশনে 54 জন আরপিএফ মোতায়ন করা হচ্ছে। প্রতিটি স্টেশনের পাশাপাশি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমেও সিসিটিভির মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তের গতিবিধির উপর নজর রাখা হবে। সারা দিনই প্রতিটি স্টেশনের সবক'টি টিকিট কাউন্টার খোলা রাখা হবে। এছাড়াও পার্ক স্ট্রিট, রবীন্দ্রসদন, কালীঘাট, যতীন দাস পার্ক, নেতাজি ভবন, দমদম ও বরানগর স্টেশনে সবকটি টিকিট কাউন্টারের পাশাপাশি বাড়তি দু'টি করে টিকিট কাউন্টার খোলা হবে।