কলকাতা, 14 অগস্ট: প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল ৷ এরপরই আরজি কর হাসপাতালে বন্ধ হল সেমিনার হলে থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা ঘর ভাঙার কাজ ৷ যদিও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নয়া অধ্যক্ষ সুহৃতা পালের দাবি, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘর ভাঙার কাজ বন্ধ করা হয়েছিল ৷ তিনি বলেন, "পুলিশের কাছে ই-মেইল করে কাজ করা যাবে কি না, সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম । তারপর এখন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে । যেটুকু কাজ হয়েছে, তা মাত্র আট ঘণ্টার ।"
মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে । যেখানে দেখা যায়, চারতলার সেমিনার হলের কাছাকাছি একটি ঘরে সংস্কারের কাজ চলছে । পরবর্তীতে জানা যায়, প্রথম থেকে হাসপাতালে 'রেস্ট রুম' নেই বলেই অভিযোগ উঠেছিল ৷ ওইদিন সেই ঘর তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছিল । তবে কেন তদন্ত প্রক্রিয়া চলার সময়ে এই কাজ করা হল, সেই প্রশ্নই তোলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা ৷ গতকাল (মঙ্গলবার) আরজি কর হাসপাতালে এসেছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল ৷ তারাও এই কাজ বন্ধ করার কথা বলে গিয়েছিল ।
কলকাতা হাইকোর্টের তরফে মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয় ৷ হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, এরপরেই গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে হাসপাতালের সুপার বুলবুল মুখোপাধ্যায়ের কাছে সিবিআইয়ের তরফে একটি চিঠি আসে ৷ ওই চিঠিতে হাসপাতালের ঘর ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
অপরদিকে বুধবার সকালে দিল্লি থেকে এই ঘটনার তদন্ত করতে কলকাতায় এসেছে সিবিআইয়ের একটি দল । কিন্তু এখনও তারা অধ্যক্ষের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ করেনি ৷ এমনটাই এ দিন দাবি করেছেন অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল । তাঁর কথায়, "সিবিআই এখনও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি । যোগাযোগ করলে অবশ্যই তাদের যথাযথ সাহায্য করা হবে ।"
আজ, বুধবার চিকিৎসক সংগঠন জয়েন্ট ডক্টরস ফোরামের তরফে বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করার ডাক দেওয়া হয়েছে । কিন্তু সেখানে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দেখা গিয়েছে অন্য ছবি । সকাল থেকে ওপিডি বিভাগে চলছে টিকিট দেওয়ার কাজ । অধ্যক্ষ আশ্বস্ত করেছেন, "চিকিৎসকরা ভিতরে রয়েছেন । গতকাল কলেজ কাউন্সিল বৈঠকে চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখার কথা বলা হয়েছে ৷ সেই মতো কাজ চলছে ।"