ETV Bharat / state

চিত্তরঞ্জন রেল কারখানাকে 100টি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরির বরাত রেল মন্ত্রকের - চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা

Chittaranjan Locomotive Works: দেশে সবচেয়ে বড় ফ্রেট করিডর তৈরির কাজ চলছে। ফলে দ্রুত গতিতে পণ্যবাহী রেক টানার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রেল ইঞ্জিন প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে। তাই চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে 100টি এমন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ডব্লুউএজি-9 টুইন ইঞ্জিন বানানোর বরাত দিল রেলমন্ত্রক।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 17, 2024, 10:46 PM IST

আসানসোল, 17 ফেব্রুয়ারি: নভেম্বর মাসেই ভারতীয় প্রযুক্তিতে প্রথম 12 হাজার অর্শ্বক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন বানিয়ে তাক লাগিয়েছিল চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা। ওয়াগ-9 টুইন লোকোকে একত্রিত করে 12 হাজার হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন তৈরি করেছিল সিএলডব্লুউ। তখনই 10টি টুইন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রেল ইঞ্জিন তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল কারখানাকে। এবার আরও বড় খবর এল। রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে 100টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টুইন ইঞ্জিন বানানোর বরাত দেওয়া হল চিত্তরঞ্জন রেল কারখানাকে। গত 14 ফেব্রুয়ারি এই বরাত এসেছে বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।

দেশে সবচেয়ে বড় ফ্রেট করিডর তৈরির কাজ চলছে। ফলে প্রয়োজন অনেক পরিমাণে দ্রুত গতিতে পণ্যবাহী রেক টানার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রেল ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই বিহারের মাধেপুরায় ফরাসী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে 12 হাজার হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন বানানোর কাজ চলছে। কিন্তু চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই ইঞ্জিন বানানো হয়েছে। এবার চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে 100টি এমন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ডব্লুউএজি-9 টুইন ইঞ্জিন বানানোর বরাত দেওয়া হয়েছে। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, 45 থেকে 50টি মালগাড়ির বগিকে শতাধিক কিলোমিটার গতিবেগে টেনে নিয়ে যেতে পারবে এই রেল ইঞ্জিন। দু'টি ইঞ্জিনের মধ্যে বাফার বাদ দিয়ে এই ইঞ্জিন নির্মাণ করা হবে। অতীতে যদি একটি কেবিন ও চাকার সংখ্যা কম করা হয়, তাহলে আরও সফল হবে এই ইঞ্জিন।

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস কারখানার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন, "এটা আমাদের কাছে খুব গর্বের বিষয়। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা নিঃসন্দেহে আরও মজবুত হবে এর ফলে।" রাজীব গুপ্ত উদাহরণ দিয়ে জানান, বিদেশ থেকে এই রেল ইঞ্জিন কিনে আনতে 30 কোটি টাকা খরচ হত। কিন্তু চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় এই ইঞ্জিন বানাতে অন্তত 10 কোটি টাকা কম পড়বে। ইতিমধ্যেই 12 হাজার হর্সপাওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন যে ইঞ্জিন অমৃত ভারতে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসে তৈরি হয়েছে।

এবার টুইন ইঞ্জিন বানানো হচ্ছে পণ্যবাহী রেক টেনে নেওয়ার জন্য। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই ইঞ্জিন বানানো হচ্ছে এটাই গর্বিত করেছে সিএলডব্লুউ'র কর্মীদের। ইতিমধ্যেই চলতি আর্থিক বছরে, 500টি রেল ইঞ্জিন বানিয়ে রেকর্ড করেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা 540। যা সহজেই পূর্ণ হবে বলে মনে করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। আর উৎপাদনে গোটা বিশ্বের কাছে এক বিরাট নজির গড়তে চলেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা।

আরও পড়ুন:

  1. বাস থেকে রাস্তায় পড়ল বস্তা ভরতি কয়েন! কুড়োতে হুলস্থুল পরিস্থিতি
  2. অনিয়মের অভিযোগ, মেয়াদ শেষের আগেই বদলি বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর

আসানসোল, 17 ফেব্রুয়ারি: নভেম্বর মাসেই ভারতীয় প্রযুক্তিতে প্রথম 12 হাজার অর্শ্বক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন বানিয়ে তাক লাগিয়েছিল চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা। ওয়াগ-9 টুইন লোকোকে একত্রিত করে 12 হাজার হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন তৈরি করেছিল সিএলডব্লুউ। তখনই 10টি টুইন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রেল ইঞ্জিন তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল কারখানাকে। এবার আরও বড় খবর এল। রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে 100টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টুইন ইঞ্জিন বানানোর বরাত দেওয়া হল চিত্তরঞ্জন রেল কারখানাকে। গত 14 ফেব্রুয়ারি এই বরাত এসেছে বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।

দেশে সবচেয়ে বড় ফ্রেট করিডর তৈরির কাজ চলছে। ফলে প্রয়োজন অনেক পরিমাণে দ্রুত গতিতে পণ্যবাহী রেক টানার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রেল ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই বিহারের মাধেপুরায় ফরাসী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে 12 হাজার হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন বানানোর কাজ চলছে। কিন্তু চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই ইঞ্জিন বানানো হয়েছে। এবার চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে 100টি এমন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ডব্লুউএজি-9 টুইন ইঞ্জিন বানানোর বরাত দেওয়া হয়েছে। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, 45 থেকে 50টি মালগাড়ির বগিকে শতাধিক কিলোমিটার গতিবেগে টেনে নিয়ে যেতে পারবে এই রেল ইঞ্জিন। দু'টি ইঞ্জিনের মধ্যে বাফার বাদ দিয়ে এই ইঞ্জিন নির্মাণ করা হবে। অতীতে যদি একটি কেবিন ও চাকার সংখ্যা কম করা হয়, তাহলে আরও সফল হবে এই ইঞ্জিন।

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস কারখানার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন, "এটা আমাদের কাছে খুব গর্বের বিষয়। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা নিঃসন্দেহে আরও মজবুত হবে এর ফলে।" রাজীব গুপ্ত উদাহরণ দিয়ে জানান, বিদেশ থেকে এই রেল ইঞ্জিন কিনে আনতে 30 কোটি টাকা খরচ হত। কিন্তু চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় এই ইঞ্জিন বানাতে অন্তত 10 কোটি টাকা কম পড়বে। ইতিমধ্যেই 12 হাজার হর্সপাওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন যে ইঞ্জিন অমৃত ভারতে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসে তৈরি হয়েছে।

এবার টুইন ইঞ্জিন বানানো হচ্ছে পণ্যবাহী রেক টেনে নেওয়ার জন্য। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই ইঞ্জিন বানানো হচ্ছে এটাই গর্বিত করেছে সিএলডব্লুউ'র কর্মীদের। ইতিমধ্যেই চলতি আর্থিক বছরে, 500টি রেল ইঞ্জিন বানিয়ে রেকর্ড করেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা 540। যা সহজেই পূর্ণ হবে বলে মনে করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। আর উৎপাদনে গোটা বিশ্বের কাছে এক বিরাট নজির গড়তে চলেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা।

আরও পড়ুন:

  1. বাস থেকে রাস্তায় পড়ল বস্তা ভরতি কয়েন! কুড়োতে হুলস্থুল পরিস্থিতি
  2. অনিয়মের অভিযোগ, মেয়াদ শেষের আগেই বদলি বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.