দুর্গাপুর, 12 নভেম্বর: দীর্ঘ 12 বছর পর দুর্গাপুরের মহিলা কো-অপারেটিভে নির্বাচন হতে চলেছে ! সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুরে ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দিচ্ছে না শাসক দলের দুষ্কৃতীরা । সেই অভিযোগে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করল সিপিএম । দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার চত্ত্বরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করল বাম দলের নেতা-কর্মীরা ।
বাম নেতৃত্বের দাবি, নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য প্রার্থীদের মনোননয়নপত্র দাখিল করতে দেওয়া হচ্ছে না প্রার্থীদের ৷ শুধু তাই নয়, স্থানীয় সিআইটিইউ কার্যালয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ৷ এরপর ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা ৷ এরপর রাস্তা বিক্ষোভমুক্ত করতে উদ্যোগ নিতেই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বাম কর্মী-সমর্থকদের ৷ মনোনয়নপত্র জমা করতে না-দেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা ।
সিপিএম-এর মহিলা কর্মী নিলাম দাসের অভিযোগ, "মহিলা কো-অপারেটিভ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ মঙ্গলবার । মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আমাদের বাধা দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা । আমাদের মারধর করা হয় ৷ মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় ।" পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ তোলেন তিনি ৷ নিলাম আরও বলেন, "তাই আমরা বাধ্য হয়ে. গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেছি । যতক্ষণ না আমাদের মনোনয়নপত্র জমা করতে দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়বো না । প্রয়োজনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখাবো ।"
উল্লেখ্য, এর আগে দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে 'দাদাগিরি'-এর অভিযোগ ওঠে ৷ তৎকালীন পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির নেতৃত্বে অবাধে ভোটে লুঠ চালানোর অভিযোগ ওঠে । এবার বিরোধীদেরকে মনোনয়নের জন্য ফর্ম তুলতে না-দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে । সিটু নেতা বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তীর অভিযোগ, "বিরোধী মহিলাদেরকে নমিনেশন ফর্ম তুলতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ এমনকী, সিটু-র কার্যালয়েও হামলা করা হয় ৷ গোটা বিষয়টি দেখেও নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ ৷"