বোলপুর, 14 অগস্ট: কারামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হল রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে ৷ তাজপুরে বনদফতরের মহিলা আধিকারিককে হুমকি দেওয়ায় মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছিল অখিল গিরিকে । তিনিই ছিলেন কারামন্ত্রী ৷ এতদিন কারা দফতর ছিল খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ৷ এবার তা এল বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহের হাতে ৷
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল ৷ সেই মতো এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে সমুদ্র সৈকতের ধারে বন দফতরের জমিতে বেআইনিভাবে দোকান তৈরির অভিযোগ উঠেছিল । বন দফতরের তরফে চলছিল উচ্ছেদ অভিযান ৷ অভিযোগ, 3 অগস্ট সেখানে হাজির হয়ে বন দফতরের মহিলা আধিকারিককে কার্যত হুমকি দেন রামনগর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ।
যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সুব্রত বক্সি তাঁকে কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার নির্দেশ দেন ৷ 4 অগস্ট সেই মতো কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অখিল গিরি । এতদিন এই দফতর খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই ছিল ৷
একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল, এই দফতরের দায়িত্ব বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে দেওয়া হবে ৷ সেই জল্পনার অবসান হল৷ কারামন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন চন্দ্রনাথবাবু ৷ অর্থাৎ, ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প দফতর-সহ কারা দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত চন্দ্রনাথ সিংহ ৷
নতুন একটি দায়িত্ব পেয়ে চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন ৷ দফতরে গিয়ে সবার সঙ্গে পরিচয় করে কাজ বুঝতে হবে ৷ ভালো কাজ করে দেখিয়ে দিতে হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রী ভরসা করেছেন আমাকে, সেই ভরসা আমাকে রাখতে হবে কাজ করে । আধিকারিকদের নিয়ে চলতে হবে ।"