কলকাতা, 25 জুলাই: 2014 সালের টেট পাশের শংসাপত্র সংক্রান্ত নথি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছেই রয়েছে ৷ আদালতে এমনটাই দাবি করল সিবিআই । অথচ এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, 2014 সালের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বর্তমানে সিবিআই তদন্ত চলছে, ফলে এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিই এখন সিবিআইয়ের কাছে রয়েছে ।
পর্ষদ একথা বলার পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআইয়ের কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন । তারই জবাবে সিবিআই আজ আদালতে জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত নথি তাদের কাছে নেই ৷ তা রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছেই ।
সিবিআইয়ের আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র জানালেন, গোপনীয় চালান থেকে দেখা যাচ্ছে 2014 সালের 1 লাখ 25 হাজার 703 জন টেট উত্তীর্ণের শংসাপত্র ও টেট পাশ সংক্রান্ত নথি 2023 সালের 1 এপ্রিল এস বসু রায় ও কোম্পানি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হাতে তুলে দিয়েছে । এই নথি বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছেই রয়েছে । সিবিআইয়ের কাছে এই নথি নেই ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস জানালেন, যদি এই নথি পর্ষদের হাতে থাকে, তাহলে তারা তা অবশ্যই খুঁজে বের করবে । তার জন্য তাদের সময় দেওয়া হোক । আগামী সোমবার ফের শুনানি হবে এই মামলার ।
উল্লেখ্য, 2014 সালের টেট উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি করছেন এই রকম প্রার্থীদেরকেও সিবিআই হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ ওঠে । এদিকে, বহু টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী বৈধ শংসাপত্র না-থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগের পরীক্ষায় আবেদন জানাতে পারছেন না । তার জন্য তাঁদের টেট উত্তীর্ণ শংসাপত্র দেওয়ার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই প্রার্থীরা ।
শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, এই তথ্য বর্তমানে তাদের হাতে নেই । সিবিআইয়ের কাছে রয়েছে । তারপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি অমৃতা সিনহা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "তথ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত ছিল । পরীক্ষার্থীদের হেনস্থা হতে হচ্ছে পর্ষদের গাফিলতিতে ।" তখনই বিচারপতি সিবিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, তাদের কাছে এই নথি আছে কি না । আজ সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কাছে সেই নথি নেই ৷