কলকাতা, 22 এপ্রিল: রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনায় যে ভিডিয়ো ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ডিজিকে । পাশাপাশি এসপি মুর্শিদাবাদ ও সিআইডিকে মঙ্গলবার দুপুর 3টের মধ্যে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ ৷ রামনবমীর সময় মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর, বেলডাঙা এরিয়াতে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছিল । রাজ্যের বক্তব্য, পুলিশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এফআইয়ার দায়ের করেছিল । শুধুমাত্র মন্দির নয়, মসজিদেও হামলা চালানো হয় ।
মামলাকারী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফের আইনজীবী কৃষ্ণেন্দু সরকার বলেন, "রামনবমীর দিন যখন পুলিশি নিরাপত্তায় শোভাযাত্রা শুরু হয় তখন হঠাৎ করে ইট ও বোমা পড়তে শুরু করে ছাদের উপর থেকে । অনেকে আহত হয় । একজনের মৃত্যুও হয় । প্রতি বছর এক জিনিস ঘটে চলেছে । একটা সম্প্রদায়কেই বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে । সবটাই আগে থেকে পরিকল্পনা করে করা হয়েছে । কিছু অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে বলে আমরা শুনেছি । শক্তিপুর-সহ অন্য জায়গার দুই ওসিকে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দিয়েছে বলেও আমরা শুনেছি ।"
রাজ্যের বক্তব্য, ওখানে পুলিশ ছিল । পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ । দুই সম্প্রদায়ের থেকেই সমস্যা সৃষ্টিকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে । পুলিশ সুয়োমোটো অভিযোগও দায়ের করেছে । পুলিশ অথরিটিও আক্রান্ত হয়েছে ৷ 17 এপ্রিল রামনবমীর মিছিল কারও প্রাণহানির কোনও খবর নেই । এমনকি আমাদের কাছে বোমাবাজিরও কোনও খবর নেই । পুলিশ ওখানে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে । সেটার শব্দ হতেই পারে । আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক । আমরা ডিটেল রিপোর্ট জমা দিতে চাই ।
রাজ্যের আরও বক্তব্য, স্বতঃস্ফূর্ত মামলায় 7 জন গ্রেফতার হয়েছে । দুটি সম্প্রদায়ের থেকে দুটো আলাদা এফআইআর দায়ের হয়েছে । সেখানেই গ্রেফতার করা হয়েছে । আমাদের কাছে ড্রোন ফুটেজ এবং ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে । আর ওখানে কেন্দ্রীয়বাহিনী ছিল সেই সময় । এই বিষয়ে কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী জানান, কেন্দ্রীয়বাহিনী নির্বাচন ঘোষণার পর রুটমার্চ করছে বিভিন্ন এলাকায় । তবে বারবার একটা সম্প্রদায়ের উপর কেন আক্রমণ করা হবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার রাজ্যকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন :