কলকাতা, 29 অগস্ট: বেআইনি পার্কিং নিয়ে বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম । বেআইনি পার্কিং বন্ধ করার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, "ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় । দেখতে হবে এই ইচ্ছেটা কোন ধরনের ইচ্ছে । অফিসিয়াল ইচ্ছে না, রাজনৈতিক ইচ্ছে ?"
বিধাননগরে বেআইনি পার্কিং সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি ৷ তিনি আরও বলেন, "কোনও নির্দেশই সাহায্য করতে পারে না, যদি কিছু করার ইচ্ছে না থাকে ।" উল্লেখ্য, যে মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি, সেই মামলাটি করেন সঞ্জীব সিনহা চৌধুরী ৷ তাঁর আর্জি ছিল বিধাননগরে বেআইনি পার্কিং চলছে । যাঁরা পার্কিংয়ের টাকা নিচ্ছেন, তাঁদের পরিচয়পত্র থাকতে হবে ।
ওই মামলায় প্রধান বিচারপতি তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেন, "পার্কিং-এর সমস্যা একটা জায়গার নয়, এ রাজ্যের সব শহরে একই অবস্থা । পুরসভার কোনও সদিচ্ছা না থাকলে এটা সমাধান করা সম্ভব নয় । ফ্রি পার্কিংয়ের জায়গা, নো-পার্কিং এগুলো নোটিফাই করা প্রয়োজন । তবে বিজ্ঞপ্তির কোনও গুরুত্ব নেই যদি পুরসভা নিজেই সেটা না মানে ।"
তিনি আরও বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না বাড়িয়ে না করে এগুলো করুন ।’’ বিধাননগরের কমিশনারকে তাঁর নির্দেশ, "বেআইনি পার্কিং নিয়ে দ্রুত টেন্ডারের কাজ শেষ করবেন । হোর্ডিং ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য ওয়েবসাইটে দিতে হবে ।" এই ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, টেন্ডার ডাকা হয়েছে । মামলাকারীর অভিযোগ থাকলে সেটা জানাতে পারেন ।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন , "আপনারা কাজ করুন । আপনার চেয়ারম্যান নির্বাচিত, তিনি সব সুবিধা পাবেন, আর জনগন আসবেন আদালতে ?’’
এই মামলায় রাজ্যে চলাচল করা বাসের অবস্থা নিয়েও প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছেন ৷ তিনি বলেন, "যে বাসগুলো ফেলে দেওয়া উচিত, সেগুলো আপনারা চালাচ্ছেন । শুধু ওই ড্রাইভার বা কন্ডাকটর নয়, যাত্রীদের জন্যে ও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে । কোথায় পরিবর্তন হচ্ছে ? নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন করুন । বাসের ভাড়া কবে রিভাইস করেছেন ? বছর কুড়ি আগে ? বাস মালিকরা খরচ বাঁচাতে কেরোসিন বা বাজে তেল ব্যবহার করেন । কবে পরিবর্তন হবে ?"