কলকাতা, 8 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে সহযোগিতা করতে পারছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন । এ কথা বলে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেছে । বাধ্য হয়ে অবশেষে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ও আরও দুই আধিকারিককে শুক্রবার আদালতে তলব করে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ । বেলা সাড়ে 12টার সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকরা হাজির হন আদালতে ।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান, সিবিআই আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন ওএমআর প্রস্তুতকারী সংস্থা 'নাইসা' সমস্ত ডাটা স্ক্যান করতে ডাটা স্ক্যানটেক নামে এক সংস্থাকে দিয়েছিল । এই তথ্য কি স্কুল সার্ভিস কমিশন জানে ? স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, এটি কমিশনের জানা নেই । এতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, "সিবিআই এক মাস আগে হলফনামা দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে, অথচ আপনরা এটা পড়ে দেখার সময় পর্যন্ত পাননি ?" চেয়ারম্যান জানান, সোমবার তিনি এই বিষয়টি দেখে আদালতকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন ।
এর আগে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র আদালতকে সহযোগিতা করতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক । তিনি বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রতিদিনই আদালতে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় চাইছে ৷
বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, "নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চাইলেই প্রতিদিন সময় চাইছেন । কত দিন চলতে পারে এটা ? গত মঙ্গলবার থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হচ্ছে নাইসার ব্যাপারে । কিন্তু তার উত্তর দিতে পারছেন না আপনি । তার মানে আপনি আদালতকে সহযোগিতা করতে পারছেন না ।"
তারপরই আইনজীবী সুতনু পাত্র এই মামলা থেকে অব্যাহতি চান । বিচারপতি বসাক তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে দেন । একইসঙ্গে বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ বেলা 12.30টায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকদের আদালতে তলব করেন ।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টে তৈরি হয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শাব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চ । কিন্তু সেই বেঞ্চে দিনের পর দিন স্কুল সার্ভিস কমিশন নানা তথ্য আদালতের চাহিদা মতো দিতে পারছে না বলে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট ।
আরও পড়ুন: