কোচবিহার, 9 অগস্ট: অস্থির পরিস্থিতি বাংলাদেশে ৷ আর তার জেরে ভারতে প্রবেশ করতে চাইছেন অনেকেই ৷ কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের বারুণী এলাকায় খর্প নদী পেরিয়ে ভারতের ঢোকার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা ৷
শীতলকুচি গোলনাহাটি অঞ্চলের পাঠানটুলি গ্রামের কাশিয়ার এলাকার পাশেই রয়েছে বাংলাদেশের দই খাওয়া গ্রাম। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে কয়েক'শো মানুষ নদী পার করে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই এলাকায় রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া ৷ তবে ওই নদী ভারতের অন্তর্ভুক্ত। সেই নদী পেড়িয়েই ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা ৷
ইতিমধ্যে বিএসএফের আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছেন সেই জায়গায় ৷ পৌঁছেছে শীতলকুচি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নো-ম্যান্স ল্যান্ডেরও বেশ খানিকটা পর্যন্ত বিএসএফ জওয়ানরা পৌঁছে গিয়েছেন ৷ যাতে ওপার বাংলা থেকে কেউ অবৈধভাবে কেউ প্রবেশ করতে না পারেন। এবিষয়ে বিএসএফের গোপালপুর সেক্টরের এক আধিকারিক জানান, গোটা বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। সীমান্তে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে অনেকেই। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি সীমান্তের ওপারে বহু মানুষ হাজির হয়েছিল ভারতে প্রবেশের জন্য। তাঁরা ভারতে প্রবেশ করতে চান। তাই তাদের কাটাতারের গেট খুলে দেওয়া হোক। কিন্তু বিএসএফ তাদের ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তাও আরও জোরদার করা হয়েছে বিএসএফের তরফে ৷
এর মধ্যেই শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশের দই খাওয়া ও গেন্দুগুড়ি গ্রাম দিয়ে কয়েক'শো মানুষ কাটাতারের ওপারে এসে হাজির হয়। গেট খোলার দাবিও জানান তাঁরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তে। বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। ছুটে গিয়েছে পুলিশও। যদিও মাথাভাঙার মহকুমাশাসক নভনীত মিত্তাল জানান, সীমান্তের এক কিলোমিটার এর মধ্যে যে কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।