কলকাতা, 15 এপ্রিল: ভূপতি নগরের ঘটনায় বিজেপি নেতাদের রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ গেরুয়া শিবিরের দাবি, লাগাতার মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিরোধীদের লোকসভা ভোট থেকে দূরে রাখতে চাইছে শাসক শিবির ৷ এই মর্মে মামলা দায়ের হয় ৷ সেই মামলায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, পাঁচ সপ্তাহের জন্য অভিযুক্তদের রক্ষাকবচ দেওয়া হচ্ছে ৷ এই সময়ের মধ্যে বিজেপি নেতারা আগাম জামিন নিতে পারবেন । পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে পারবে না ।
বিচারপতির প্রশ্ন, রাজ্যের তরফে দায়ের হওয়া মামলায় বিস্ফোরক আইনের বিভিন্ন ধারা কেন যুক্ত করা হচ্ছে ? আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই ধারা বাদ দেওয়া হচ্ছে কেন তাও বোধগম্য নয় ৷ মামলাকারীর আইনজীবী জানান, এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে । বিরোধীদের ফাঁসানোর এটা একটা অস্ত্র । লোকসভা ভোটে বিরোধীরা যাতে মাঠে না থাকতে পারেন তাই এভাবে মিথ্যে মামলা করে তাঁদের ফাঁসানো একটা রাজনৈতিক কৌশল ।
মামলাকারীদের তরফে জানানো হয়, 2021 থেকে মোট 19টি মামলা দেওয়া হয়েছে, 14টির ক্ষেত্রে বিস্ফোরক আইনের ধারা রয়েছে । কিন্তু পুলিশ বলছে, মাত্র 9টি মামলা ওই ধারায় রয়েছে । রাজ্যের অবশ্য পালটা বক্তব্য, এসটিএফ তদন্ত করছে । 6টি মামলার তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে ।
অভিযোগ, ভূপতিনগরের তপন মিদ্দা-সহ 20 জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে 40টি মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ । রক্ষাকবচের আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হন তপন মিদ্দা-সহ অন্যান্যরা । রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । ওসির রিপোর্ট দেখে তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি । তারপরই ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক হাইকোর্টে এসে ক্ষমা চান । বিচারপতি তাঁকে আজকের তারিখ পর্যন্ত কোনও মামলার তদন্তে হাত দিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন । একইসঙ্গে মামলার ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছিলেন তিনি ।
আরও পড়ুন
1. ভূপতিনগরে আক্রান্ত এনআইএ, অথচ আক্রান্তের ধারা যুক্ত অভিযুক্তের স্ত্রীর এফআইআরে !
2. ভূপতিনগর কাণ্ডে জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট জমা পড়ল নির্বাচন কমিশনে