দুর্গাপুর, 19 ফেব্রুয়ারি: ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু ইস্পাত কর্মীর। পুলিশের তোলাবাজির জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, এই অভিযোগ তুলে পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্ট ভেঙে পুলিশকে তাড়া করল উত্তেজিত জনতা। পরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান আন্দোলনকারীরা। মৃত ইস্পাত কর্মীর নাম সঞ্জয় চক্রবর্তী (52)। ইস্পাত নগরীর এ-জোন রানাপ্রতাপ রোডের বাসিন্দা। এই দুর্ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
দুর্গাপুরের ইস্পাত কারখানার কর্মী সঞ্জয় চক্রবর্তী সোমবার কাজ সেরে স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই দ্রুতগতিসম্পন্ন অবস্থায় একটি ডাস্টবোঝাই ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সঞ্জয় চক্রবর্তীর স্কুটিতে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার জেরে গুরুতর আহত হন ওই ইস্পাত কর্মী। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে দুর্গাপুরের ইস্পাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুরের ইস্পাত কারখানার শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব। পুলিশের তোলাবাজির জেরে এই দুর্ঘটনা অভিযোগ তুলে লিংক রোড অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেন স্থানীয়রা।
দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার হিন্দুস্থান স্টিল ওয়ার্কার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রজত দীক্ষিত বলেন, "পুলিশ তোলাবাজি করছিল। সেই তোলা না-দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ডাস্টবোঝাই ট্রাক্টরটি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তখনই তাঁদের সহকর্মী সঞ্জয় চক্রবর্তী ট্রাক্টরের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ভারী গাড়ি কেন যাতায়াত করছে? কেন নজরদারি বাড়াচ্ছে না পুলিশ?"
একই কথার পুনরাবৃত্তি শোনা যায় সিটু নেতা প্রকাশ তরু চক্রবর্তীর গলাতেও। পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন আশ্বাস দেওয়া হয় ভারী যানবাহন আর চলবে এই রাস্তায় ৷ পাশাপাশি পুলিশের যে অস্থায়ী চেকপোস্ট ছিল তাও বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন ৷
আরও পড়ুন: