ETV Bharat / state

প্যারোডি-র‍্যাপেও ফেরেনি ভোট, 'ইনকিলাবে' ফিরছে সিপিআইএম

এসএফআইয়ের রাজ্য দফতরে খোলা হচ্ছে 'ইনকিলাব' বুকস্টল ৷ তরুণ প্রজন্মকে ভোটবাক্সে পরিণত করতে পুরনো পন্থাকেই হাতিয়ার করছে বামেরা ৷

CPIM RETURNS TO INKILAB SLOGAN
এসএফআইয়ের রাজ্য দফতরে শুরু হচ্ছে 'ইনকিলাব' বুকস্টল ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 12, 2024, 8:25 PM IST

কলকাতা, 12 নভেম্বর: কালারফুল স্লোগান থেকে র‍্যাপ, প্যারোডি গান ’টুম্পা সোনা', সবই চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, ভোটবাক্সের ফল শূন্য ৷ শত চেষ্টা করেও নতুন প্রজন্মেকে কাছে টানা যাচ্ছে না ৷ বরং, ক্রমশ তলানিতে ভোটের ভাণ্ডার ৷ কিন্ত, সোশাল মিডিয়ায় আস্ফালনের কমতি নেই ৷ তাই এবার সিপিআইএমের নীতি 'ব্যাক টু বেসিক' ৷ আর তার শুরুটা হচ্ছে ছাত্রদের দিয়ে ৷

এসএফআই রাজ্য দফতরে খুলছে বুক স্টল 'ইনকিলাব'। আগামী 15 ডিসেম্বর নতুন রূপে স্থায়ীভাবে বুকস্টল খোলা হচ্ছে দীনেশ মুজমদার ভবনে ৷ তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতেই এই উদ্যোগ বলে দাবি নেতৃত্বের ৷ সেখানে আলোচনা ও মতামত বিনিময় হবে ৷ ফেসবুকের আড্ডার বদলে, সামনা-সামনি আলোচনা করার চেষ্টায় সিপিআইএম ৷

এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে-র কথায়, "ইনকিলাব হচ্ছে 'জেন জি আড্ডা জোন'। স্থায়ী বুকস্টল ৷ ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ৷ নতুনদের মধ্যে বিশেষ বার্তা দেওয়ার জন্যে ৷" একটা সময় শ্রমিক, দিনমজুর বা মাঠে খাটা মানুষেরাই ছিল সিপিএমের ভোট বাক্স ৷ সেই সমর্থন ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে ৷ তারাই এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিংবা অন্য জনমুখী প্রকল্প পেয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে ৷ অনন্ত জেলা-শহরের ভোটের শতাংশ তাই বলছে ৷

এদিকে, আবার নতুন প্রজন্মকে চাকরি বা কর্মস্থান দিতে খুব একটা উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা করতে পারেনি বর্তমান সরকার ৷ তাই, নতুন প্রজন্মকে কাছে টানতে দলের প্রার্থী তালিকা, কিংবা দলীয় পদে নতুনদের জুড়ে বিশেষ বার্তা দিতে উদ্যোগী হয়েছেন মহম্মদ সেলিম, বিমান বসুরা ৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় কালারফুল স্লোগান থেকে র‍্যাপ, প্যারোডি গান 'টুম্পা সোনা' দিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছিল সিপিআইএম ৷ যাতে সোশাল মিডিয়া মুখী তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বামপন্থাকে পুনরুজ্জীবিত করা যায় ৷ কিন্তু, তাতেও চিঁড়ে ভিজছে না ৷ বরং, ভোট-রাজনীতি নিয়ে খুব একটা উৎসাহ দেখা যাচ্ছে নতুনদের মধ্যে ৷

এ বিষয়ে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, "নতুনদের ভোট-রাজনীতি নিয়ে উৎসাহ না-থাকার কারণ তৃণমূল ৷ শাসকদল চেয়েছে ছাত্র অধিকার ভুলিয়ে দিতে ৷ সেই কারণে সাত বছর ধরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না ৷ অবৈধভাবে ইউনিয়নগুলি দখল করেছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা ৷ রাজনীতি মানেই চুরি, জোচ্চুরি, হিংসা এটাই বার্তাটাই দিতে চেয়েছে এরা ৷ রাজ্যজুড়ে হিংসা, চুরি, জোচ্চুরিতে ধরা পড়েছেন শাসক নেতারা ৷ ফলে, নতুন প্রজন্ম মনে করছে রাজনীতি মানে এটাই ৷ তাছাড়া, এখন যারা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তাঁরা সাত বছর আগে ফাইভ বা সিক্সে পড়ত ৷ টানা সাতবছর নির্বাচন না-হওয়ায়, তাঁরা জানেও না ছাত্র সংসদ নির্বাচন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ৷ এখন সেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন ফেরাতে, রাজ্য জুড়ে আন্দোলন সংগঠিত হবে ৷"

যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বহুবার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানোর আশ্বাস দিয়েছেন ৷ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেও ছাত্র নির্বাচন করানোর দাবি উঠেছে ৷ আগামী বছরের শুরুতে সেই নির্বাচন করানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷ এখন দেখার সেটা কতটা বাস্তবায়িত হয় ৷

কলকাতা, 12 নভেম্বর: কালারফুল স্লোগান থেকে র‍্যাপ, প্যারোডি গান ’টুম্পা সোনা', সবই চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, ভোটবাক্সের ফল শূন্য ৷ শত চেষ্টা করেও নতুন প্রজন্মেকে কাছে টানা যাচ্ছে না ৷ বরং, ক্রমশ তলানিতে ভোটের ভাণ্ডার ৷ কিন্ত, সোশাল মিডিয়ায় আস্ফালনের কমতি নেই ৷ তাই এবার সিপিআইএমের নীতি 'ব্যাক টু বেসিক' ৷ আর তার শুরুটা হচ্ছে ছাত্রদের দিয়ে ৷

এসএফআই রাজ্য দফতরে খুলছে বুক স্টল 'ইনকিলাব'। আগামী 15 ডিসেম্বর নতুন রূপে স্থায়ীভাবে বুকস্টল খোলা হচ্ছে দীনেশ মুজমদার ভবনে ৷ তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতেই এই উদ্যোগ বলে দাবি নেতৃত্বের ৷ সেখানে আলোচনা ও মতামত বিনিময় হবে ৷ ফেসবুকের আড্ডার বদলে, সামনা-সামনি আলোচনা করার চেষ্টায় সিপিআইএম ৷

এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে-র কথায়, "ইনকিলাব হচ্ছে 'জেন জি আড্ডা জোন'। স্থায়ী বুকস্টল ৷ ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ৷ নতুনদের মধ্যে বিশেষ বার্তা দেওয়ার জন্যে ৷" একটা সময় শ্রমিক, দিনমজুর বা মাঠে খাটা মানুষেরাই ছিল সিপিএমের ভোট বাক্স ৷ সেই সমর্থন ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে ৷ তারাই এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিংবা অন্য জনমুখী প্রকল্প পেয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে ৷ অনন্ত জেলা-শহরের ভোটের শতাংশ তাই বলছে ৷

এদিকে, আবার নতুন প্রজন্মকে চাকরি বা কর্মস্থান দিতে খুব একটা উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা করতে পারেনি বর্তমান সরকার ৷ তাই, নতুন প্রজন্মকে কাছে টানতে দলের প্রার্থী তালিকা, কিংবা দলীয় পদে নতুনদের জুড়ে বিশেষ বার্তা দিতে উদ্যোগী হয়েছেন মহম্মদ সেলিম, বিমান বসুরা ৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় কালারফুল স্লোগান থেকে র‍্যাপ, প্যারোডি গান 'টুম্পা সোনা' দিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছিল সিপিআইএম ৷ যাতে সোশাল মিডিয়া মুখী তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বামপন্থাকে পুনরুজ্জীবিত করা যায় ৷ কিন্তু, তাতেও চিঁড়ে ভিজছে না ৷ বরং, ভোট-রাজনীতি নিয়ে খুব একটা উৎসাহ দেখা যাচ্ছে নতুনদের মধ্যে ৷

এ বিষয়ে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, "নতুনদের ভোট-রাজনীতি নিয়ে উৎসাহ না-থাকার কারণ তৃণমূল ৷ শাসকদল চেয়েছে ছাত্র অধিকার ভুলিয়ে দিতে ৷ সেই কারণে সাত বছর ধরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না ৷ অবৈধভাবে ইউনিয়নগুলি দখল করেছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা ৷ রাজনীতি মানেই চুরি, জোচ্চুরি, হিংসা এটাই বার্তাটাই দিতে চেয়েছে এরা ৷ রাজ্যজুড়ে হিংসা, চুরি, জোচ্চুরিতে ধরা পড়েছেন শাসক নেতারা ৷ ফলে, নতুন প্রজন্ম মনে করছে রাজনীতি মানে এটাই ৷ তাছাড়া, এখন যারা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তাঁরা সাত বছর আগে ফাইভ বা সিক্সে পড়ত ৷ টানা সাতবছর নির্বাচন না-হওয়ায়, তাঁরা জানেও না ছাত্র সংসদ নির্বাচন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ৷ এখন সেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন ফেরাতে, রাজ্য জুড়ে আন্দোলন সংগঠিত হবে ৷"

যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বহুবার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানোর আশ্বাস দিয়েছেন ৷ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেও ছাত্র নির্বাচন করানোর দাবি উঠেছে ৷ আগামী বছরের শুরুতে সেই নির্বাচন করানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷ এখন দেখার সেটা কতটা বাস্তবায়িত হয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.