ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর ইংরেজবাজার পৌরসভার জঞ্জাল কর লাগুর সিদ্ধান্ত কি ঠান্ডাঘরে ? উঠছে প্রশ্ন - ENGLISH BAZAR MUNICIPALITY

English Bazar Municipality on Garbage Tax: জঞ্জাল কর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংরেজবাজার পৌরসভা ৷ ব্যবসায়ী সংগঠন এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর পৌরসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ৷

English Bazar Municipality
মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভা (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 25, 2024, 9:04 AM IST

মালদা, 24 জুন: তাহলে জঞ্জাল করের কী হবে ? পৌরবোর্ডের সেই সিদ্ধান্ত কি বিশ বাঁও জলে ? সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর থেকেই ফিসফাস ইংরেজবাজার পৌরসভার অন্দরে ৷ সম্প্রতি ইংরেজবাজার পৌরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় যে, এবার থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি কর আদায় করা হবে ৷ বাণিজ্যিক এলাকা আর হোটেল-রেস্টুরেন্ট তো আছেই ৷ তবে কবে থেকে সেই কর আদায় শুরু হবে, তা জানায়নি পৌর কর্তৃপক্ষ ৷ কিন্তু পৌরসভার এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে জেলার বণিকমহল ৷ শহরবাসীর মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দেয় ৷

রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভার প্রধান ও কর্পোরেশনের মেয়রদের কাজ নিয়ে নবান্নের সভাগৃহে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ টেন্ডার দুর্নীতি, নিজেদের ইচ্ছেমতো কর চালু করা, বেআইনি নির্মাণ, সরকারি জায়গায় টাকার বিনিময়ে লোক বসানো, জলাজমি ভরাট-সহ একাধিক প্রসঙ্গে তিনি মেয়র ও পুরপ্রধানদের তিরস্কার করেন ৷

'আপনাদের টাকা খাওয়ার জন্য রাজ্যের নাম খারাপ হচ্ছে', বালি-হাওড়া নিয়ে খড়গহস্ত মমতা

ইংরেজবাজারে জঞ্জাল কর চালু করার বিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে জঞ্জাল সংগ্রহের কর আদায় না-করলে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য যে টাকা দেওয়া হয় তা আর দেওয়া হবে না ৷ বিষয়টি নিয়ে আমরা বোর্ড অফ কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করেছি ৷ সেই আলোচনা সাপেক্ষে আমরা এই কর লাগু করার চিন্তাভাবনা করছি ৷ কবে থেকে এই কর চালু করা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি ৷ এর জন্য প্রথমে মানুষকে জানাতে হবে ৷ তাদের বোঝাতে হবে ৷ যদি আমরা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা না-পাই তবে কাজ করব কীভাবে ? এখন শহরবাসীর একাংশ যেখানে সেখানে বাড়ির আবর্জনা ফেলে দিচ্ছে ৷ এই কর চালু হলে তারা আর সেটা করবে না ৷ গৃহস্থ বাড়ি, কমার্শিয়াল কিংবা হোটেল-রেস্টুরেন্টের কর আলাদা হবে ৷" তবে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর ইটিভি ভারতের তরফে তাঁকে ফোন করা হলে প্রথমে তিনি ফোন ধরেননি ৷ পরে অবশ্য 'এখন ব্যস্ত আছি' বলে ফোন কেটে দেন ৷

ইংরেজবাজার পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু জঞ্জাল কর লাগু করাই নয়, কোন ক্ষেত্রে কত টাকা কর নেওয়া হবে, সেটাও চূড়ান্ত হয়েছিল ৷ গৃহস্থ বাড়ি পিছু দৈনিক এক টাকা কর ধার্য হয়েছিল ৷ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে তার হার দৈনিক পাঁচ টাকা ৷ হোটেল ও রেস্টুরেন্টের মালিকদের প্রতিদিন গুনতে হবে 25 টাকা ৷ এমনিতেই এই পৌরসভায় নাগরিকদের সম্পত্তি কর বাড়তে চলেছে ৷ পরিশ্রুত পানীয় জল না পেলেও প্রতি মাসে জল কর দিতে হচ্ছে নাগরিকদের ৷ তার মধ্যে জঞ্জাল কর চালুর সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন শহরবাসী ৷

মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক উত্তম বসাক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, "মাসদুয়েক আগে পৌর কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য কর আদায়ের কথা জানায় ৷ আমরা জানিয়েছিলাম, এই কর লাগু করার আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক ৷ পরে শুনি, প্রত্যেকটি দোকানের জন্য দৈনিক পাঁচ টাকা আর হোটেল-রেস্টুরেন্টের জন্য 25 টাকা কর ধার্য করেছে পৌরসভা ৷ ব্যবসায়ীরা দোকান ঘরের ভাড়া, জিএসটি থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্স ফি নিয়মিত দিয়ে থাকেন ৷ এখন যদি তাঁদের জঞ্জাল করও দিতে হয় তবে তাঁরা ব্যবসা করবেন কীভাবে ! আমরা এই কর মানছি না ৷ এই কর লাগু করার আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে পৌরসভাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷"

রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে জল চুক্তি, মোদিকে কড়া চিঠি মমতার

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর পৌর কর্তৃপক্ষ যে জঞ্জাল কর লাগু করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছোতে বাধ্য হবে, তা মানছেন জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতা ৷ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলছেন, "এবারের লোকসভা ভোটে টের পাওয়া গিয়েছে, আমরা পৌর এলাকার মানুষদের থেকে দূরে সরে গিয়েছি ৷ শুধু ইংরেজবাজার নয়, রাজ্যের বেশিরভাগ পৌরসভায় একই ছবি ৷ মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ৷ তিনি সমস্ত তথ্য নিয়েই আজ বৈঠক করেছেন ৷ আজ তিনি যে যে দুর্নীতির কথা বলেছেন, তার প্রতিটিই ইংরেজবাজার পৌর এলাকায় হয়েছে ৷ পৌরসভা এখন কিছু মানুষের পকেট ভরার কারখানায় পরিণত হয়েছে ৷ তাহলে নির্বাচনে মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবেন কেন ?"

এই বিষয়ে বিজেপির জেলা নেতা অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম ভেঙেছে ৷ এটা ভালো কথা ৷ তবে তাঁকে প্রমাণ করতে হবে, আজ তিনি যা বলেছেন সেটা শুধুই মানুষকে ভাঁওতা দেওয়ার জন্য নয় ৷ তিনি ইংরেজবাজার পৌরসভার বিরুদ্ধে তদন্ত করুন ৷ দেখুন, এখানে কীভাবে তাঁর দলের লোকজন জলাশয় ভরাট করছে, টেন্ডার দুর্নীতি করছে, ধমকে চমকে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে, শহরের সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছে ৷ এসব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করলে আমরাও তাঁকে নৈতিক সমর্থন করব ৷"

বাতিল করুন NEET, রাজ্যের হাতে দিন ডাক্তারি পরীক্ষার দায়িত্ব, মোদিকে চিঠি মমতার

মালদা, 24 জুন: তাহলে জঞ্জাল করের কী হবে ? পৌরবোর্ডের সেই সিদ্ধান্ত কি বিশ বাঁও জলে ? সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর থেকেই ফিসফাস ইংরেজবাজার পৌরসভার অন্দরে ৷ সম্প্রতি ইংরেজবাজার পৌরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় যে, এবার থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি কর আদায় করা হবে ৷ বাণিজ্যিক এলাকা আর হোটেল-রেস্টুরেন্ট তো আছেই ৷ তবে কবে থেকে সেই কর আদায় শুরু হবে, তা জানায়নি পৌর কর্তৃপক্ষ ৷ কিন্তু পৌরসভার এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে জেলার বণিকমহল ৷ শহরবাসীর মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দেয় ৷

রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভার প্রধান ও কর্পোরেশনের মেয়রদের কাজ নিয়ে নবান্নের সভাগৃহে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ টেন্ডার দুর্নীতি, নিজেদের ইচ্ছেমতো কর চালু করা, বেআইনি নির্মাণ, সরকারি জায়গায় টাকার বিনিময়ে লোক বসানো, জলাজমি ভরাট-সহ একাধিক প্রসঙ্গে তিনি মেয়র ও পুরপ্রধানদের তিরস্কার করেন ৷

'আপনাদের টাকা খাওয়ার জন্য রাজ্যের নাম খারাপ হচ্ছে', বালি-হাওড়া নিয়ে খড়গহস্ত মমতা

ইংরেজবাজারে জঞ্জাল কর চালু করার বিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে জঞ্জাল সংগ্রহের কর আদায় না-করলে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য যে টাকা দেওয়া হয় তা আর দেওয়া হবে না ৷ বিষয়টি নিয়ে আমরা বোর্ড অফ কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করেছি ৷ সেই আলোচনা সাপেক্ষে আমরা এই কর লাগু করার চিন্তাভাবনা করছি ৷ কবে থেকে এই কর চালু করা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি ৷ এর জন্য প্রথমে মানুষকে জানাতে হবে ৷ তাদের বোঝাতে হবে ৷ যদি আমরা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা না-পাই তবে কাজ করব কীভাবে ? এখন শহরবাসীর একাংশ যেখানে সেখানে বাড়ির আবর্জনা ফেলে দিচ্ছে ৷ এই কর চালু হলে তারা আর সেটা করবে না ৷ গৃহস্থ বাড়ি, কমার্শিয়াল কিংবা হোটেল-রেস্টুরেন্টের কর আলাদা হবে ৷" তবে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর ইটিভি ভারতের তরফে তাঁকে ফোন করা হলে প্রথমে তিনি ফোন ধরেননি ৷ পরে অবশ্য 'এখন ব্যস্ত আছি' বলে ফোন কেটে দেন ৷

ইংরেজবাজার পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু জঞ্জাল কর লাগু করাই নয়, কোন ক্ষেত্রে কত টাকা কর নেওয়া হবে, সেটাও চূড়ান্ত হয়েছিল ৷ গৃহস্থ বাড়ি পিছু দৈনিক এক টাকা কর ধার্য হয়েছিল ৷ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে তার হার দৈনিক পাঁচ টাকা ৷ হোটেল ও রেস্টুরেন্টের মালিকদের প্রতিদিন গুনতে হবে 25 টাকা ৷ এমনিতেই এই পৌরসভায় নাগরিকদের সম্পত্তি কর বাড়তে চলেছে ৷ পরিশ্রুত পানীয় জল না পেলেও প্রতি মাসে জল কর দিতে হচ্ছে নাগরিকদের ৷ তার মধ্যে জঞ্জাল কর চালুর সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন শহরবাসী ৷

মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক উত্তম বসাক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, "মাসদুয়েক আগে পৌর কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য কর আদায়ের কথা জানায় ৷ আমরা জানিয়েছিলাম, এই কর লাগু করার আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক ৷ পরে শুনি, প্রত্যেকটি দোকানের জন্য দৈনিক পাঁচ টাকা আর হোটেল-রেস্টুরেন্টের জন্য 25 টাকা কর ধার্য করেছে পৌরসভা ৷ ব্যবসায়ীরা দোকান ঘরের ভাড়া, জিএসটি থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্স ফি নিয়মিত দিয়ে থাকেন ৷ এখন যদি তাঁদের জঞ্জাল করও দিতে হয় তবে তাঁরা ব্যবসা করবেন কীভাবে ! আমরা এই কর মানছি না ৷ এই কর লাগু করার আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে পৌরসভাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷"

রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে জল চুক্তি, মোদিকে কড়া চিঠি মমতার

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর পৌর কর্তৃপক্ষ যে জঞ্জাল কর লাগু করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছোতে বাধ্য হবে, তা মানছেন জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতা ৷ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলছেন, "এবারের লোকসভা ভোটে টের পাওয়া গিয়েছে, আমরা পৌর এলাকার মানুষদের থেকে দূরে সরে গিয়েছি ৷ শুধু ইংরেজবাজার নয়, রাজ্যের বেশিরভাগ পৌরসভায় একই ছবি ৷ মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ৷ তিনি সমস্ত তথ্য নিয়েই আজ বৈঠক করেছেন ৷ আজ তিনি যে যে দুর্নীতির কথা বলেছেন, তার প্রতিটিই ইংরেজবাজার পৌর এলাকায় হয়েছে ৷ পৌরসভা এখন কিছু মানুষের পকেট ভরার কারখানায় পরিণত হয়েছে ৷ তাহলে নির্বাচনে মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবেন কেন ?"

এই বিষয়ে বিজেপির জেলা নেতা অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম ভেঙেছে ৷ এটা ভালো কথা ৷ তবে তাঁকে প্রমাণ করতে হবে, আজ তিনি যা বলেছেন সেটা শুধুই মানুষকে ভাঁওতা দেওয়ার জন্য নয় ৷ তিনি ইংরেজবাজার পৌরসভার বিরুদ্ধে তদন্ত করুন ৷ দেখুন, এখানে কীভাবে তাঁর দলের লোকজন জলাশয় ভরাট করছে, টেন্ডার দুর্নীতি করছে, ধমকে চমকে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে, শহরের সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছে ৷ এসব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করলে আমরাও তাঁকে নৈতিক সমর্থন করব ৷"

বাতিল করুন NEET, রাজ্যের হাতে দিন ডাক্তারি পরীক্ষার দায়িত্ব, মোদিকে চিঠি মমতার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.