বোলপুর, 17 অগস্ট: 'মেয়েদের রাত দখল' কর্মসূচির রাতেই পূর্ব বর্ধমানে আদিবাসী তরুণীকে নৃশংসভাবে খুন করার প্রতিবাদে শান্তিনিকেতনের পথে সাঁওতাল সমাজ। হাতে ব্যানার-পোস্টার, মোমবাতি নিয়ে মিছিল করে পথসভা করেন আদিবাসী পড়ুয়া, অধ্যাপক, বিশিষ্টরা ৷ পাশাপাশি, পথে নেমে গর্জে ওঠে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারাও ৷ স্লোগান আর গানে গানে পথ অবরোধ করে চলে আরজি কর ও শক্তিগড়ে পৃথক জায়গার দুই তরুণী হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ৷
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হলে চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় ৷ পরে জানা যায় তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। 14 অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে 'মেয়েরা রাত দখল করো' কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল ৷ সোশাল মিডিয়া জুড়ে সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত-সহ দেশের একাধিক জায়গায় ৷ সেই দিনই পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের নান্দুরে আদিবাসী তরুণীর গলার নলী কাটা দেহ উদ্ধার হয় ৷
শক্তিগড় কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন শান্তিনিকেতনের পথে নামেন আদিবাসী মানুষজন। হাতে ব্যানার পোস্টার ও মোমবাতি নিয়ে মিছিল করেন তাঁরা ৷ পরে রতনপল্লীতে পথসভা করে প্রতিবাদ দেখানো হয় ৷ আদিবাসী মানুষের স্পষ্ট দাবি, আরজি করের পাশাপাশি শক্তিগড়ে আদিবাসী তরুণীকে হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক ৷ দোষীরা যথাযথ শাস্তি পাক ৷ অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা এদিন পথে নামে ৷ স্লোগান আর গানে গানে পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ করা হয় ৷ বিশ্বভারতীর নাট্যঘরের সামনের রাস্তা অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ।
আরজি কর, শক্তিগড়ের পাশাপাশি বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দাবিও ওঠে এদিন ৷ রাস্তায় পোস্টার পেতে দেওয়া হয়৷ শতশত পড়ুয়া অংশ নেন ৷ প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরে সারা রাজ্যের পাশাপাশি আরজি কর নিয়ে উত্তাল শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী। আদিবাসী ছাত্রীদের মধ্যে সুনিতা মুর্মু ও রাজশ্রী হেমব্রম বলেন, "দিকে দিকে অন্যায় হচ্ছে। প্রশাসন বলে কিছু নেই৷ আমাদের কোন সুরক্ষা নেই। দিকে দিকে প্রতিবাদ দরকার।"