ETV Bharat / state

পুলিশি হেফাজতে আত্মঘাতী গয়না চুরিতে অভিযুক্ত, তদন্তে যাদবপুর থানা - Death in Police Custody

Death in Police Custody: মুকুন্দপুরের এক মহিলার ফ্ল্য়াটে গয়না চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন কণাদ ৷ চলছিল তদন্ত ৷ তারমধ্য়েই পুলিশি হেফাজতে আত্মঘাতী তিনি ৷ ঘটনার তদন্ত করছে ভবানীপুর থানার পুলিশ ৷

Death in Police Custody
পুলিশি হেফাজতে আত্নঘাতী অভিযুক্ত
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 8, 2024, 4:30 PM IST

কলকাতা, 8 এপ্রিল: তদন্ত চলাকালীন পুলিশি হেফাজতেই আত্মঘাতী অভিযুক্ত ৷ মুকুন্দপুরের এক মহিলার ফ্ল্য়াটে গয়না চুরির অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে ৷

লালবাজার সূত্রের খবর, মৃতের নাম কণাদ চক্রবর্তী (43)। পঞ্চসায়র এলাকার শতাব্দী পার্কে থাকতেন তিনি। অভিযোগকারীর দাবি, মাঝেমধ্য়ে তার বাড়িতে আসতেন কণাদ ৷ ভালো সম্পর্কও ছিল দু-জনের ৷ একদিন তিনি দেখেন, ঘর থেকে চুরি হয়েছে প্রায় লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না। জানা যায় কণাদই সেই গয়না চুরি করেছে। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি ৷

গত 26 ডিসেম্বর রাতে ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু থানায় অভিযোগ দায়ের হয় 2 জানুয়ারিতে। মহিলার অভিযোগ, বারবার তিনি স্থানীয় থানায় গিয়েও কাজ হয়নি। অবশেষে লালবাজারের দ্বারস্থ হন তিনি। পরে লালবাজারের নির্দেশে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷ অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ।

তদন্তে নেমে প্রথমে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয় তদন্তকারীদের । কারণ কণাদ চক্রবর্তী কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না । কিন্তু অবশেষে তাকে খুঁজে বের করা হয়। লালবাজার সূত্রের খবর, চুরির কথা স্বীকার করে নেন কণাদ ৷ পুলিশকে জানান, ওই গয়না তিনি বন্ধক দিয়েছেন । কিন্তু সেই বন্ধক সংক্রান্ত নথি রাখা রয়েছে মুকুন্দপুরের ওই মহিলার ফ্ল্যাটে ।

এরপর কণাদকে নিয়ে ওই মহিলার ফ্ল্যাটে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ । সেখানে নথি বের করার নামে একটি ব্যাগ বের করেন অভিযুক্ত । সবার সামনেই, ব্যাগে রাখা একটি বোতল থেকে তরল খেয়ে নেন তিনি । এরপরই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন কণাদ ৷ এরপর ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে তড়িঘড়ি বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে ৷ কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

তদন্ত নেমে একটি স্বতঃপ্রণোদিত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ ৷ অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে কণাদের কী সম্পর্ক ? মহিলার গয়না চুরি হল অথচ স্থানীয় থানা কেন ওই মহিলার অভিযোগ নিল না? বন্ধক দেওয়া গয়নার কাগজপত্র কীভাবে ওই মহিলার ফ্ল্যাটের আলমারিতে এসে পৌঁছলো? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন:

কলকাতা, 8 এপ্রিল: তদন্ত চলাকালীন পুলিশি হেফাজতেই আত্মঘাতী অভিযুক্ত ৷ মুকুন্দপুরের এক মহিলার ফ্ল্য়াটে গয়না চুরির অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে ৷

লালবাজার সূত্রের খবর, মৃতের নাম কণাদ চক্রবর্তী (43)। পঞ্চসায়র এলাকার শতাব্দী পার্কে থাকতেন তিনি। অভিযোগকারীর দাবি, মাঝেমধ্য়ে তার বাড়িতে আসতেন কণাদ ৷ ভালো সম্পর্কও ছিল দু-জনের ৷ একদিন তিনি দেখেন, ঘর থেকে চুরি হয়েছে প্রায় লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না। জানা যায় কণাদই সেই গয়না চুরি করেছে। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি ৷

গত 26 ডিসেম্বর রাতে ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু থানায় অভিযোগ দায়ের হয় 2 জানুয়ারিতে। মহিলার অভিযোগ, বারবার তিনি স্থানীয় থানায় গিয়েও কাজ হয়নি। অবশেষে লালবাজারের দ্বারস্থ হন তিনি। পরে লালবাজারের নির্দেশে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷ অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ।

তদন্তে নেমে প্রথমে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয় তদন্তকারীদের । কারণ কণাদ চক্রবর্তী কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না । কিন্তু অবশেষে তাকে খুঁজে বের করা হয়। লালবাজার সূত্রের খবর, চুরির কথা স্বীকার করে নেন কণাদ ৷ পুলিশকে জানান, ওই গয়না তিনি বন্ধক দিয়েছেন । কিন্তু সেই বন্ধক সংক্রান্ত নথি রাখা রয়েছে মুকুন্দপুরের ওই মহিলার ফ্ল্যাটে ।

এরপর কণাদকে নিয়ে ওই মহিলার ফ্ল্যাটে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ । সেখানে নথি বের করার নামে একটি ব্যাগ বের করেন অভিযুক্ত । সবার সামনেই, ব্যাগে রাখা একটি বোতল থেকে তরল খেয়ে নেন তিনি । এরপরই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন কণাদ ৷ এরপর ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে তড়িঘড়ি বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে ৷ কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

তদন্ত নেমে একটি স্বতঃপ্রণোদিত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ ৷ অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে কণাদের কী সম্পর্ক ? মহিলার গয়না চুরি হল অথচ স্থানীয় থানা কেন ওই মহিলার অভিযোগ নিল না? বন্ধক দেওয়া গয়নার কাগজপত্র কীভাবে ওই মহিলার ফ্ল্যাটের আলমারিতে এসে পৌঁছলো? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.