রামপুরহাট, 3 এপ্রিল: "অনুব্রত মণ্ডলই যদি বিজেপিতে চলে যেত ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যেত, যায়নি তাই জেল খাটছে ৷" অনুব্রতর বীরভূমে এসে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া সুরে অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন, নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে রুদ্ধদ্বার কর্মী সম্মেলন করলেন তিনি ৷ জানা গিয়েছে, দলের ফল খারাপ হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন অভিষেক ৷
বোলপুর ও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ফের জোড়া ফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল-কংগ্রেস ৷ তাই এদিন তারাপীঠে দলের কোর কমিটির সদস্য-সহ প্রায় 173 জন নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক ৷ পরে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন তিনি ৷
গরুপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে ছাড়া এই প্রথম বীরভূম জেলার দু'টি আসনে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাই লড়াই অন্যান্যবারের তুলনায় কঠিন হতে চলেছে ৷ যদিও, কোর কমিটির পাঁচ সদস্যের কাঁধে জেলার বিধানসভা ভাগ করে দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বীরভূমের তারাপীঠে একটি বেসরকারি হোটেলে রুদ্ধদ্বার কর্মী সম্মেলন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরী, কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মাল, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী শতাব্দী রায়-সহ প্রায় 173 জন নেতা। দলীয় বৈঠিক শেষে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক ।
দলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক । তিনি বলেন, "যত দিন যাচ্ছে সাংগঠনিকভাবে তৃণমূল শক্তিশালী হচ্ছে ৷ 2019-এর চেয়ে 2024-এ অনেক ভালো ফল হবে । বিজেপি বারংবার এলাকাকে অশান্ত করার পরিকল্পনা করেছে ৷ আবারও করবে । আবাসের টাকার জন্য বিজেপি সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক দেখি ।"
শীতলকুচি কাণ্ডে নাম জড়ানো বিজেপি প্রার্থী আইপিএস দেবাশিস ধর প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "খুব দুর্ভাগ্যজনক যে এনাকে প্রার্থী করেছে ওরা ৷ বিজেপি তো গাঁজা কেসে অভিযুক্তকেও প্রার্থী করেছে। "
অনুব্রতহীন বীরভূমের লড়াইটা কতটা কঠিন? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, "এই অনুব্রত মণ্ডল যদি আজ বিজেপিতে চলে যেতেন, তাহলেই ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যেতেন। বিজেপিতে যাননি, তাই জেল খাটছেন। ঠিক যেভাবে অজিত পাওয়ার, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, নারায়ণ রানে ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে গিয়েছেন ৷ অনুব্রত মণ্ডল এতদিন জেলে তাও উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে গরুপাচার হচ্ছে, যা বিজেপির রাজ্য ৷ কীভাবে? ইডি-সিবিআই শেষ কথা বলে না, সাধারণ মানুষই গণতন্ত্রের শেষ কথা বলে।"
আরও পড়ুন:
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকার প্রলোভন দেখাচ্ছেন অভিষেক, কমিশনে সিপিএম