ETV Bharat / state

'পুলিশ-প্রশাসন কি চোখ বন্ধ রেখেছে'? সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ বন্ধ রাখলেও ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় - সন্দেশখালি

Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৷ জানালেন তিনি 'ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ' ৷

Sandeshkhali Incident
সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 13, 2024, 10:58 PM IST

সন্দেশখালি কাণ্ডে ক্রুদ্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

ব‍্যারাকপুর, 13 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে আবারও মুখ খুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে,তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷

এদিন তিনি বলেন, "টিভিতে যে সমস্ত ঘটনা দেখছি বা শুনছি, রাতের বেলায় মহিলাদের নাকি ডেকে পাঠানো হত। এটার সঙ্গে সাধারণত পরিচিত নয় পশ্চিমবঙ্গ। আমার জ্ঞান হওয়ার পর এই সমস্ত কখনও শুনিনি। এটুকু বলতে পারি এই ঘটনায় আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।" তিনি আরও বলেন, "একটা প্রশ্ন অনেকের মতো আমার মনেও উঠে আসছে, প্রশাসন কী জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? নাকি পুলিশ-প্রশাসন জেনেও চোখ বন্ধ করেছিল?"

কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির গণেশ পুজোর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব‍্যারাকপুরে আসেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরনোর সময় সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, "আগের কথা আমি বলতে পারব না। খুব বেশিদিনের ব‍্যাপার নয়‌। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। যাঁরা এই কাজ করেছে তাঁরা দুর্বৃত্ত।"

এদিকে, সন্দেশখালিতে144 ধারা খারিজ হওয়ার পর আবার তা জারি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "করুক না। আদালত তো আছে। আদালত আদালতের কাজ করছে।" উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ যে মহিলাদের ‘আলাদা’ চোখে দেখতেন শাহজাহানের শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবু বাহিনীর লোকেরা। জোর করে তাঁদের মিটিং-মিছিলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত। রাতের দিকেও বাড়িতে ডেকে পাঠানো হত। না-গেলেই দেওয়া হত হুমকি। সে সব অভিযোগ নিয়ে রাজ্য জুড়ে তো বটেই, এবার জাতীয় স্তরেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্মৃতি।

এসবের মধ্যেই নারী নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। গিয়েছিল রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলও। কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালিতে তাঁরা এমন কোনও মহিলাকে পাননি যিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। তবে মহিলাদের রাতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাড়ির কাজ করানো হত বলে গ্রামবাসীরাই তাঁদের জানিয়েছেন বলে দাবি ছিল লীনার। অন্যদিকে, সন্দেশখালি নিয়ে ওই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বের 10 সদস্যের বিশেষ দল তদন্ত করছে।

আরও পড়ুন:

1. সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদ, সুকান্তর এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্র বসিরহাট

2. সন্দেশখালিতে জমি দখল ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা কলকাতা হাইকোর্টের

3. সন্দেশখালিতে রাজ্যের 144 ধারা প্রয়োগের নির্দেশ খারিজ হাইকোর্টে

সন্দেশখালি কাণ্ডে ক্রুদ্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

ব‍্যারাকপুর, 13 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে আবারও মুখ খুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে,তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷

এদিন তিনি বলেন, "টিভিতে যে সমস্ত ঘটনা দেখছি বা শুনছি, রাতের বেলায় মহিলাদের নাকি ডেকে পাঠানো হত। এটার সঙ্গে সাধারণত পরিচিত নয় পশ্চিমবঙ্গ। আমার জ্ঞান হওয়ার পর এই সমস্ত কখনও শুনিনি। এটুকু বলতে পারি এই ঘটনায় আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।" তিনি আরও বলেন, "একটা প্রশ্ন অনেকের মতো আমার মনেও উঠে আসছে, প্রশাসন কী জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? নাকি পুলিশ-প্রশাসন জেনেও চোখ বন্ধ করেছিল?"

কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির গণেশ পুজোর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব‍্যারাকপুরে আসেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরনোর সময় সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, "আগের কথা আমি বলতে পারব না। খুব বেশিদিনের ব‍্যাপার নয়‌। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। যাঁরা এই কাজ করেছে তাঁরা দুর্বৃত্ত।"

এদিকে, সন্দেশখালিতে144 ধারা খারিজ হওয়ার পর আবার তা জারি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "করুক না। আদালত তো আছে। আদালত আদালতের কাজ করছে।" উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ যে মহিলাদের ‘আলাদা’ চোখে দেখতেন শাহজাহানের শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবু বাহিনীর লোকেরা। জোর করে তাঁদের মিটিং-মিছিলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত। রাতের দিকেও বাড়িতে ডেকে পাঠানো হত। না-গেলেই দেওয়া হত হুমকি। সে সব অভিযোগ নিয়ে রাজ্য জুড়ে তো বটেই, এবার জাতীয় স্তরেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্মৃতি।

এসবের মধ্যেই নারী নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। গিয়েছিল রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলও। কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালিতে তাঁরা এমন কোনও মহিলাকে পাননি যিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। তবে মহিলাদের রাতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাড়ির কাজ করানো হত বলে গ্রামবাসীরাই তাঁদের জানিয়েছেন বলে দাবি ছিল লীনার। অন্যদিকে, সন্দেশখালি নিয়ে ওই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বের 10 সদস্যের বিশেষ দল তদন্ত করছে।

আরও পড়ুন:

1. সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদ, সুকান্তর এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্র বসিরহাট

2. সন্দেশখালিতে জমি দখল ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা কলকাতা হাইকোর্টের

3. সন্দেশখালিতে রাজ্যের 144 ধারা প্রয়োগের নির্দেশ খারিজ হাইকোর্টে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.