কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি: ফের পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে আসার অভিযোগে পরীক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করল সংসদ। মঙ্গলবার নতুন করে চার জনের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সংসদ। ওই চার জনের থেকেই মোবাইল ফোন পাওয়ার অভিযোগ ৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর ওই চার জনের চলতি বছরের সমস্ত পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাতিল হওয়া চার জনের মধ্যে দু'জন কলকাতার পরীক্ষার্থী। এছাড়াও বাকি দু'জন পরীক্ষার্থী পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়ার ৷ এই চার জনকে নিয়ে 2024-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এখনও পর্যন্ত মোট 32 জনের পরীক্ষা বাতিল করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মঙ্গলবার উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা ছিল ইতিহাস, অংক, সাইকোলজি, এনথ্রোপোলজি, এগ্রোনোমি ৷ তার মধ্যে অভিযুক্ত দু'জন ছিলেন অংকের পরীক্ষার্থী। বাকি দু'জন ইতিহাসের পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষাহলে তাঁরা মোবাইল ফোন নিয়ে এসেছে এমনটা বুঝতে পেরে তাঁদের যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এছাড়াও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, মোবাইল ফোনের জন্য প্রথম দিন পাঁচ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তৃতীয় দিন তিন জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পঞ্চম দিন ছ'জন, ষষ্ঠ দিন তিন জন এবং সপ্তম দিন সাত জন, অষ্টম দিন চার জনের, নবম দিন আরও চার জনের পরীক্ষা বাতিল হল ৷ যদিও পরীক্ষার দ্বিতীয় এবং চতুর্থ দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে আসার কোনও ঘটনা নেই।
প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন বিক্রির ঘটনায় পুলিশের জালে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। নদিয়ার বাড়ি থেকে ওই অভিযুক্তকে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ 22 ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। ধৃতের নাম রূপম সাধুখাঁ। তিনি প্রাণীবিদ্যা অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় অর্থের বিনিময়ে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন বিক্রির ফাঁদ পাতা হয়েছিল। বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম গ্রুপে তাঁর দাবি মতো অর্থ দিলেই ইংরেজি ও অংক প্রশ্নপত্র মিলবে বলে টোপ দেওয়া হচ্ছিল পরীক্ষার্থীদের।
17 ফেব্রুয়ারি শনিবার বিষয়টি নজরে আসতেই তৎপর হয় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বিষেয়টি খতিয়ে দেখেন সংসদের কর্তারা। যদিও এই প্রশ্ন সত্যি নয় বলেই আশ্বস্ত করেছিল সংসদ। কিন্তু কোনও জালিয়াতি চক্র কাজ করছে বলেও আশঙ্কা ছিল সংসদের কর্তাদের। সেই দলের মূল পাণ্ডাকে ধরলেও চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: