কলকাতা, 24 মার্চ: রাজ্যের ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করতে শুরু থেকেই তৎপর নির্বাচন কমিশন । রাজ্যে এসে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের রাজীব কুমার স্পষ্ট ভাষায় বলে গিয়েছেন যে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোর জন্য যা করার তা তিনি করবেন । তারই পদক্ষেপ হিসাবে এপ্রিলের শুরুতেই রাজ্যে আসছে আরও 27 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, যারা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে এরিয়া ডমিনেশনের কাজ করছে । পাশাপাশি চলছে ভোটারদের মনোবল বৃদ্ধির প্রয়াস । আর এপ্রিলের শুরুতে যে বাহিনী আসছে সেগুলি মূলত ভোটকেন্দ্রিক । নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তাতে 1 এপ্রিল এই 27 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাজ্যে আসার কথা বলা আছে ।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের 7 তারিখের মধ্যেই রাজ্যে 150 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল । ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তারা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষের মনোবল বৃদ্ধি ও এরিয়া ডমিনেশনের কাজ করছে । এর সঙ্গে এই 27 কোম্পানি বাহিনী যুক্ত হলে এক এপ্রিল থেকে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই থাকবে 177 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ।
নির্বাচন কমিশনের যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে জানা গিয়েছে এক এপ্রিল আসা 27 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে থাকছে 15 কোম্পানি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স অর্থাৎ সিআরপিএফ, 5 কোম্পানি সীমান্তরক্ষী বাহিনী অর্থাৎ বিএসএফ এবং 7 কোম্পানি সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্থাৎ সিআইএসএফ । নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই 27 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোথায় মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, সাত দফার ভোটে ইতিমধ্যেই প্রথম দফার মনোনয়ন শুরু হয়ে গিয়েছে । প্রথম দফায় ভোট হবে 19 এপ্রিল আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে । আর এর সঙ্গেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে অভিযোগ উঠতেও শুরু করেছে । ইতিমধ্যে পিংলায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে চাপানউতোর চলছে । আর এ সবের মাঝেই 27 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে পাঠিয়ে জাতীয় নির্বাচন স্পষ্ট করে দিতে চাইল নির্বাচনে কোনও হিংসা বরদাস্ত করবে না তারা ।
আরও পড়ুন: