বেঙ্গালুরু, 3 এপ্রিল: একুশ বছরের ময়াঙ্ক যাদবের আগুনে পেসে বিধ্বস্ত আইপিএলের বাকি দলগুলি ৷ বিশেষত, টপ-অর্ডারের ব্যাটাররা ৷ ভালো শুরু করেও মাঝের ওভারে ময়াঙ্কের 150 প্লাস গতির সামনে পরাস্ত হচ্ছেন বিশ্বের তাবড় ক্রিকেটাররা ৷ মঙ্গলবার রাতে ঠিক যেমনটা হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর টপ-অর্ডারের ৷ লখনউ সুপার জায়ান্টসকে শুধু ম্যাচ জেতালেন না ৷ পরপর দু’ম্যাচে সেরার পুরস্কার নিয়ে গেলেন দিল্লির পেসার ৷ জানালেন, তাঁর যাত্রা সবে শুরু হয়েছে ৷ আসল লক্ষ্য ভারতীয় দলের জার্সিতে পারফর্ম করা ৷
গত মরশুমেও লখনউ সুপার জায়ান্টস শিবিরে ছিলেন ময়াঙ্ক যাদব ৷ কিন্তু, মরশুম শুরুর আগে অনুশীলন ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন ৷ লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁর চিকিৎসা ও রিহ্যাবের দায়িত্ব নিয়েছিল ৷ আর এই মরশুমে ফিরে এসেই আগুন ঝরাচ্ছেন ময়াঙ্ক ৷ অভিষেক ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে 3 উইকেট নিয়েছিলেন ৷ শিকারের তালিকায় ছিলেন জনি বেয়ারস্টো, জিতেশ শর্মা এবং প্রভসিমরণ সিং ৷ আরসিবি ম্যাচে তাঁর শিকারের তালিকায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিন এবং রজত পাতিদার ৷
মাত্র দু’ম্যাচে গতি ও সঠিক লাইন-লেন্থে বল করে বিশ্বের তাবড় ব্যাটারদের শিকারের তালিকায় সামিল করেছেন ৷ এই পারফর্ম্যান্স নিয়ে ময়াঙ্ক বলেন, "খুব ভালো লাগছে ৷ দুই ম্যাচে পরপর দু’টি প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ ৷ আমি এটার থেকেই বেশি খুশি যে, আমরা দু’টি ম্যাচই জিতেছি ৷ আমার লক্ষ্য দেশের হয়ে খেলা ৷ আমি মনে করি এটা সবে শুরু হল ৷ আমি ক্যামরন গ্রিনের উইকেট সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি ৷"
নিয়মিত ছন্দে এই আগুনে বোলিংয়ের পিছনের রহস্য কী ? এনিয়ে ময়াঙ্ক যাদব বলেন, "জোরে বল করার পিছনে অনেকগুলি দিক রয়েছে- ডায়েট, ঘুম, ট্রেনিং ৷ আমি নিজের ডায়েট ও ম্যাচ রিকভারি নিয়ে খুবই সচেতন ৷" একজন তুরুণ ক্রিকেটার কেরিয়ারের শুরুতে এমন পারফর্ম্যান্সে দলকে জেতাচ্ছেন ৷ এর থেকে বেশি কিছু চান না লখনউ সুপার জায়ান্টাসের অধিনায়ক কেএল রাহুল ৷ অন্যদিকে, আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু’প্লেসিস 21 বছরের পেসারকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন লখনউয়ের জয়ের জন্য ৷
আরও পড়ুন: