কলকাতা, 2 নভেম্বর: আর্ন্তজাতিক স্তরে সাফল্যের রাস্তা ধরেই আইএসএলের মঞ্চে জয়ের সরণিতে ফেরার শপথ। ভারতীয় ক্লাবের আর্ন্তজাতিক মঞ্চে এই সাফল্য বিরল। তবুও আবেগের আতিশয্যে নয়, বরং ঐতিহাসিক কীর্তি গড়ে ভুটান থেকে ফিরে ক্লাব লনে শনিবার উৎসব পালনে সংযমী ইস্টবেঙ্গল। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে দলকে পৌঁছে দিয়ে এদিন শহরে ফিরল ইস্টবেঙ্গল ৷ হেক্টর ইউস্তে, হিজাজি মাহের, নাওরেম মহেশ বাদে সকলেই হাজির ছিলেন ক্লাবে ৷
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শনিবার সোজা ক্লাব তাঁবুতে চলে আসেন কোচ অস্কার ব্রুজোঁ-সহ অন্য়ান্য কোচিং স্টাফ এবং ফুটবলাররা। সকলকে নিয়ে প্রথা মেনে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সভাপতি মুরারি মোহন লোহিয়া, শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এবং অন্যান্য পদাধিকারীরা ক্লাব লনে পতাকা উত্তোলন করেন। সমর্থকদের ঢল নামেনি। যাঁরা এসেছিলেন তাঁদেরও উচ্ছ্বাস নিচু স্বরে বাঁধা। চলল দিয়ামানতাকোস, তালালদের সঙ্গে সেলফি পর্ব ৷
যদিও এএফসি'কে পাশে সরিয়ে ফের আইএসএলে চোখ ইস্টবেঙ্গলের। যেখানে প্রথম হাফডজন ম্যাচ শেষে জয়হীন ইস্টবেঙ্গল। পয়েন্ট টেবিলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার শুরুতে আগামী 9 নভেম্বর ইস্টবেঙ্গল খেলবে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে। ক্লাব সভাপতি মুরারি মোহন লোহিয়া জানালেন, তাঁরা এই সাফল্যে খুশি। তবে আইএসএলে ঘুরে দাঁড়ানোয় মনোনিবেশ করতে চান। তাহলেই প্রত্যাবর্তন পরিপূর্ণ হবে। যাঁরা প্রত্যাবর্তনের কারিগর, সেই ফুটবলাররাও এএফসি'র সাফল্য এবং আসন্ন আইএসএল ম্য়াচ নিয়ে দু-চারকথা বলে গেলেন গাড়িতে ওঠার আগে ৷
অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা বলছেন, "মানসিকতার ঘাটতি এই জয়ে দূর হবে। ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে। তবে এই জয়ের জন্য পরিশ্রম করতে হয়েছে।" ফরাসি প্লে-মেকার মাদিহ তালালের গলাতেও একই সুর। তিনি বলছেন, "পুরোটাই ইতিবাচক দিক। এই আত্মবিশ্বাস আইএসএলের আসন্ন ম্যাচগুলোতে কাজে আসবে ৷ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও সাফল্যে খুশি হলেও সংযমী ৷ তাই মিষ্টিমুখ,পতাকা উত্তোলন সবই হল কিন্তু, সবকিছুর মাঝেও পাখির চোখ আইএসএল। যার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে দু-একদিনেই।