কলকাতা, 14 নভেম্বর: মহমেডান ম্য়াচে খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হওয়ার আইএসএলে ভিএআরের জোরালো দাবি তুলেছে ইস্টবেঙ্গল ৷ সেই দাবি আরও জোরালো করল মোহনবাগানের সমর্থন। বুধবার বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানান, আইএসএলের মত টুর্নামেন্টে এত পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে। সেখানে ছোট ভুলে বড় ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না। ভার প্রযুক্তি থাকলে রেফারির ভুলের সংখ্যা সামনে আসবে।
দেবাশিস দত্ত বলেন, "দেশের সবচেয়ে বেশি পুরস্কার মূল্যের প্রতিযোগিতায় যে মানের ফুটবলাররা আসছেন, তাঁদের খেলা ভুল সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায় রেফারিকে নিতে হবে।" মোহনবাগান ক্লাবের তরফে অফিসিয়াল মার্চেন্ডাইজ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বুধে সাংবাদিক সম্মেলন উঠে আসে বিভিন্ন বিষয় ৷ জাতীয় দল কিংবা সন্তোষ ট্রফির দলে বাগানের ফুটবলার না-থাকা নিয়ে ভাবিত নন বাগান সচিব ৷ দেবাশিস দত্ত জানান, মোহনবাগান ক্লাবের দায়িত্ব কেবল সমর্থকদের ট্রফি উপহার দেওয়া ৷
এ প্রসঙ্গে বাগান সচিবের একটি মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ৷ সন্তোষ ট্রফির স্কোয়াডে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার থাকলেও মোহনবাগানের ফুটবলার না-থাকায় প্রশ্ন ধেয়ে যায় দেবাশিস দত্তর দিকে ৷ তখন তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, 'সন্তোষ ট্রফিতে তো বাংলা কোয়ালিফাই-ই করতে পারে না ৷' যদিও পরে অবশ্য ভুল বুঝতে পেরে ঢোক গেলেন এবং দায় ঠেলে দেন আইএফএ'র দিকে ৷ তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, "ভারতীয় দলে বাঙালি ফুটবলার না-থাকার দায় কি আইএফএ এড়াতে পারে?"
উত্তরে মোহনবাগান ক্লাবের কার্যকরী কমিটির দুই সদস্য সত্যজিত চট্টোপাধ্য়ায় এবং মানস ভট্টাচার্য বলেন, "জাতীয় দলে বাঙালি ফুটবলারের না থাকার দায় সবার।" একইসঙ্গে তাঁরা জানান, মোহনবাগান ফুটবলারদের সন্তোষ ট্রফিতে পছন্দ না-করার দায় ক্লাবের নয়; বাংলার কোচের। এ প্রসঙ্গে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত একটি ঘটনার অবতারণা করেন ৷ তিনি জানান, সম্প্রতি এক বৈঠকে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বাংলা ফুটবলের উন্নতির জন্য ইস্টবেঙ্গলের নীতু সরকার, মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কামারউদ্দিন এবং আমার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য আইএফএ'কে পরামর্শ দেয় ৷ কিন্তু আজও কাউকে ডাকা হয়নি বলে আক্ষেপ বাগান সচিবের গলায় ৷ উল্লেখ্য, গতবার মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জনের ব্য়র্থতা কাটিয়ে এবার সন্তোষে ভালো ফলে মরিয়া সঞ্জয় সেনের বাংলা ৷