মুম্বই, 21 অগস্ট: বাবা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অমিত শাহ ৷ 2019 ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর বিসিসিআইয়ের সচিব পদে বসেন জয় শাহ ৷ 2022 সালের সেপ্টেম্বরে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় ফের ওই পদে বসেন তিনি ৷ তাঁর সময়কালেই 50 ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছে ভারত ৷ টি-20 বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে ‘রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং’ ৷ সূত্রের খবর, এবার বিসিসিআই ছাড়ছেন জয় শাহ ৷
সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে জানা গিয়েছে, পরবর্তী আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন শাহ ৷ দ্য এজের রিপোর্ট বলছে, ব্রডকাস্টিং সংস্থা স্টারের সঙ্গে আইসিসি’র গভর্নিং বডির সমস্যা শুরু হয়েছে ৷ 4.46 বিলিয়ন ডলারের ওই দুর্নীতির অভিযোগের পরেই পদত্যাগ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে ৷ 2022 সালে দ্বিতীয়বার আইসিসি চেয়ারম্যানের পদে বসেন বার্কলে ৷ নভেম্বরে তাঁর কার্যকাল শেষ হচ্ছে ৷ তৃতীয়বারের জন্য চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে থাকতে তিনি রাজি নন ৷ তাঁর জায়গাতেই বসতে পারেন অমিত-তনয় ৷
ভারত থেকে এর আগে মাত্র চার’জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (International Cricket Council) সর্বোচ্চ পদে বসেছেন ৷ জগমোহন ডালমিয়া (1997-2000) এবং শরদ পাওয়ার (2010-2012) আইসিসি প্রেসিডেন্ট ছিলেন ৷ 2014 সালে ওই পদ বদলে হয় আইসিসি চেয়ারম্যান ৷ 2014-2015 আইসিসি চেয়ারম্যান ছিলেন এম শ্রীনিবাস ৷ 2015-2020 ওই পদে ছিলেন শশাঙ্ক মনোহর ৷ জয় শাহ চেয়ারম্যান হলে তিনি ভারত থেকে তৃতীয় পদাধিকারী (চেয়ারম্যান) হবেন ৷ ওই রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সমর্থন পেয়েছেন বর্তমান বিসিসিআই সচিব ৷ ওই পদে বসতে হলে 16টির মধ্যে 9টি ভোট, অর্থাৎ প্রায় 51 শতাংশ ভোট দরকার ৷ ফলে তাঁর আইসিসি চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসার পথটা যথেষ্ট প্রশস্ত ৷
আইসিসি’র এক কর্তা জানিয়েছেন, নভেম্বরে বার্কলের কার্যকাল শেষ হচ্ছে ৷ 1 ডিসেম্বর থেকে দায়িত্বে আসবেন নয়া চেয়ারম্যান ৷ 27 অগস্টের মধ্যে নাম প্রস্তাব করতে হবে ৷ 2015 সালে বিসিসিআই’য়ের ফাইন্যান্স এবং মার্কেটিং কমিটির মেম্বার হন শাহ ৷ 2019 সালে সচিবের পদে বসেন ৷ বিসিসিআই’য়ের নিয়ম বলছে, বোর্ডের পদে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ 12 বছরের জন্য এবং টানা 9 বছর থাকতে পারেন ৷ সেপ্টেম্বর, 2025 সালে দ্বিতীয় কার্যকাল শেষের পর তিন বছরের ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ডে যেতে হবে ৷